খাওয়ার পরে ভুলেও ফেলবেন না, আমের আঁটি চড়া দামে রপ্তানি হচ্ছে বিহারে

Last Updated:

হিমসাগর আমের (Mango) গুণমান ভাল । তাই সেই আমের আঁটির চাহিদাও বেশি । বিপুল দামে তা বিক্রি করতে পারেন সহজেই ।

Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: আমের আঁটির ভেঁপু বাজায় এখনও কোন দস্যি ছেলে....আমার আর রাখাল সাজা হলো না। লাইনগুলো অনেককেই ছোটবেলার স্মৃতির জানালাটা খুলে দিতে পারে। সেই জানলার মিষ্টি হাওয়ার আপনি হয়ে উঠতেই পারেন নষ্টালজিক। তবে আজও অনেকে আমের আঁটি কুড়োয়। না, শুধুই ভেঁপু বাজানোর জন্য নয়, এই আঁটি কুড়োনোর অনেকটাই উপার্জনের জন্য।
advertisement
অবাক হচ্ছেন? তবে চলুন, আপনাকে নিয়ে যাওয়া যাক কালনা মহকুমার পূর্বস্থলীতে।ফেলে দেওয়া আমের আঁটি বিক্রি করে উপার্জনের দিশা দেখছেন পূর্বস্থলী এলাকার অনেক বাসিন্দাই। শুধু খেয়ে ফেলে দেওয়া আঁটিই নয়, বাগান থেকে আমের আঁটি কুড়িয়ে রুজি রোজগার করছেন অনেকেই। পূর্বস্হলীতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আমের আঁটির আড়ত। সেখানে আঁটি নিয়ে গেলেই উপার্জন গ্যারান্টি।
advertisement
advertisement
পূর্বস্থলী পারুলিয়া এলাকায় কয়েকটি আড়ত রয়েছে যাঁরা টিন ভর্তি করে আমের আঁটি কেনে। না না, ভেঁপু তৈরির জন্য এ আঁটি নয়। এই আমের আঁটি লরি বোঝাই হয়ে পাড়ি দেয় পাশের রাজ্য বিহারে। সেখানে এই আঁটিগুলি থেকে তৈরি হয় আম গাছের চারা। সেই চারা আমাদের রাজ্য সহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি হয় চড়া দামে। এখানের হিমসাগর আম বেশ উৎকৃষ্ট মানের। তাই এখানের আমের আঁটির চাহিদাও বেশি।
advertisement
পূর্বস্থলী এলাকায় এক টিন আমের আঁটি জোগাড় করে নিয়ে আসতে পারলেই মিলছে একশ টাকা। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিধি নিষেধে অনেকের কাজ নেই। তাই তাঁদের অনেকেই আঁটি কুড়িয়ে তা বিক্রি করে উপার্জন করছেন। তাই আমে দুধে মিশে গেলেও আঁটি গড়াগড়ি যাবে বলার দিন শেষ। বরং এই আঁটি এখন অনেককেই উপার্জনের দিশা দেখাচ্ছে। জানা গেল, আমবাগানে সকাল বিকেল বস্তা নিয়ে ঘোরেন অনেকেই। গাছ থেকে পাখিতে খাওয়া বা পচন লেগে অনেক আম পড়ে যায়। সেই আম বাজারে যায় না। আবার অনেক আম নানান ত্রুটির কারণে ফেলে দেওয়া হয়। সেই সব আমই কুড়িয়ে পরিষ্কার করে আঁটিটুকু জমায়েত করে বিক্রি করছেন অনেকে। ভরা মরশুমে এক একদিনে পাঁচ টিন পর্যন্ত আঁটি বিক্রি করেছেন অনেকে। এখন আম প্রায় শেষ। আবার সামনের বছরের অপেক্ষা।
advertisement
ফেলে দেওয়া আমের আঁটি কেনার সঙ্গে যুক্ত পূর্বস্থলী এলাকার এক আড়তদার  জানালেন, আমরা এক টিন আমের আটি একশো টাকা দরে কিনি। এই আঁটিগুলি বিহারে রপ্তানি করা হয়। সেখানে এই আঁটিগুলি থেকে নার্সারি মালিকরা চারা তৈরি করে বিক্রি করেন। বিগত তিন বছর ধরে আমরা ফেলে দেওয়া আমের আঁটি রপ্তানির কাজ করছি। এই কাজ এলাকার অনেকের কাছে আর্থিক উপার্জনের একটা উপায় হিসেবে দেখা দিয়েছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
খাওয়ার পরে ভুলেও ফেলবেন না, আমের আঁটি চড়া দামে রপ্তানি হচ্ছে বিহারে
Next Article
advertisement
'কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে...' চিংড়িহাটা মেট্রো মামলায় মন্তব্য আদালতের, খোলা মনে আলোচনায় বসার পরামর্শ রাজ্যকে
'কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে...' চিংড়িহাটা মেট্রো মামলায় মন্তব্য আদালতের
  • কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে তাহলে রাস্তায় গাড়ির চাপ কোনওদিনই কমবে না। চিংড়িহাটা মেট্রো প্রকল্প সংক্রান্ত মামলায় এমনটাই মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের। একইসঙ্গে রাজ্যকে খোলা মনে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছে আদালত

VIEW MORE
advertisement
advertisement