বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, দামোদরের ভাঙনে ফি বছর তলিয়ে যাচ্ছে বিঘের পর বিঘে জমি

Last Updated:

বালি চোরেরা নদীর তলা দিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে পাড়ের দিকের মাটির নীচ থেকে বালি টেনে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে মাটির ভেতর ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। আর বর্ষার সময় তা দিয়েই ঢুকছে জল হু হু করে।

Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: অবৈধভাবে বালি তোলার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বিস্তীর্ণ এলাকার বাঁধ। দামোদর গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘের পর বিঘে দো ফসলি ও তিন ফসলি জমি। দামোদরের জল বাড়তেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।
ফি বছর দামোদর গিলছে বিঘের পর বিঘে দো ফসলি, তিন ফসলি জমি। আর দামোদরের এই কাজে দোসর হয়ে উঠেছে বালি চোরেরা। ফলে প্রতি বছর পূর্ব বর্ধমান জেলার বিশেষ করে চরমানা, বহরপুর, গৈতানপুর, বেলকাশ অঞ্চলের চাষিরা হারাচ্ছেন তাঁদের রুজি, রুটি।
advertisement
advertisement
এখনও কোনও হেলদোল ঘটেনি প্রশাসনের। অসহায় চাষীদের ক্ষোভ বাড়ছে তিলে তিলে। সাম্প্রতিককালে পুর্ব বর্ধমান জেলার একদিকে যেমন ভাগীরথীর ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে পূর্বস্থলী অঞ্চলের একের পর এক গ্রাম, তেমনি অজয়ের ভাঙনের কবলেও পড়ছে একাধিক গ্রাম। আর এই দুইয়ের মাঝে - ‘ওরে নদ দামোদর, তোকে নিয়ে আতান্তর’ - কবির লাইনের করুণ পরিণতির শিকার হয়ে চলেছেন চরমানা, বহরপুর, গৈতানপুরের বাসিন্দারা।
advertisement
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, প্রতি বছরই দু-দশ বিঘে জমি তলিয়ে যাচ্ছে দামোদরের ভাঙনে। নয় নয় করেও গত কয়েক বছরে প্রায় ১০০ বিঘের কাছাকাছি জমি তলিয়ে গেছে দামোদরের বুকে। চাষীরা জানিয়েছেন, দিন যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে ভাঙনের প্রকোপ। যার অন্যতম কারণ অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। তাঁরা জানিয়েছেন, চরমানার অপর পাড় খন্ডঘোষ ব্লকের মধ্যে পড়ে। বালিখাদের ডাক রয়েছে সেখানেই। কিন্তু বালি চোরেরা এ পাড়ের কাছাকাছি এসে ছাকনি দিয়ে নদীর তলা দিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে পাড়ের দিকের মাটির নীচ থেকে বালি টেনে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে মাটির ভেতর ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। আর বর্ষার সময় তা দিয়েই ঢুকছে জল হু হু করে। ধসিয়ে দিচ্ছে বিঘের পর বিঘে জমি।কিন্তু বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে বলার কেউ নেই। গ্রামবাসীরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। চোখের সামনে দামোদরের বুকে  হারিয়ে যেতে দেখছেন নিজের শেষ সম্বল জমিটুকুকে।
advertisement
এই চরমানার ভাঙন যে ভয়াবহ তা জেনে সেচ দফতরের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছিল পাড় বাঁধাইয়ের কাজ। কিন্তু অজ্ঞাতকারণে তা আর শেষ হয়নি। যে টুকু কাজ হয়েছিল জলের তোড়ে তাও ভাঙছে ক্রমাগতই।
যদিও এ ব্যাপারে পুর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, জেলার সামগ্রিক এই নদী ভাঙন নিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে তাঁরা আলোচনায় বসতে চলেছেন। কি ভাবে এই ভাঙন রোধ করা যায়, কেন পাড় বাঁধাইয়ের কাজ থমকে গিয়েছে এবং অবৈধ বালি তোলার জন্য যদি ক্ষতি হয় তা হলে তাও রোখা হবে।
বাংলা খবর/ খবর/বর্ধমান/
বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, দামোদরের ভাঙনে ফি বছর তলিয়ে যাচ্ছে বিঘের পর বিঘে জমি
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement