RAJARSHI Roy#বারাসত: বর্ষবরণের রাতে দত্তপুকুর থানার বামনগাছি গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেপ্তার তিনজনের তিনদিনের পুলিশি হেফাজত। এই নির্দেশ দেয় বারাসত সি জে এম আদালত। এর মধ্যে একজন ধৃত আইনের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার বাবাও বারাসত আদালতের আইনজীবী। তিনি বিজেপির ল’সেলের সদস্য। এলাকয় বিজেপি নেতা বলে পরিচিত। উত্তর চব্বিশ পরগণার বামনগাছির কুলবেড়িয়াতে একটি গণধর্ষণের ঘটনার আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
বামনগাছির এই কুলবেড়িয়াতে সাড়ে চার বছর আগে খুন হন প্রতিবাদী কলেজ ছাত্র সৌরভ চৌধুরীর। ২০১৪ সালের ৫ জুলাই সৌরভের দেহের শতছিন্ন খন্ডাংশ বামনগাছি ও দত্তপুকুর স্টেশনের মাঝামাঝি রেল লাইনের ওপরে পাওয়া গিয়েছিল । এলাকায় নারীদের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ ও মাদকদ্রব্য সেবনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠিত করে কুখ্যাত দুষ্কৃতী শ্যামল কর্মকার ও তার চ্যালা চামুণ্ডাদের কোপ দৃষ্টিতে পড়ে খুন হতে হয় সৌরভকে । প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ওই এলাকা । কিন্তু সে সময় শ্যামল কর্মকার যে আতঙ্কের পরিবেশ কায়েম করেছিল শ্যামল ও তার মূল শাগরেদদের সাজা হওয়ার পরে আপাত শান্ত ছিল কুলবেড়িয়া। সাময়িক শান্তির রেশ কাটতে না কাটতেই আবার অশান্ত হয়ে ওঠে জেল থেকে ছাড়া পাওয়া সৌরভ হত্যাকাণ্ডে ধৃত রতন ওরফে তোতা এলাকায় ঢুকতেই । এলাকাবাসীর অভিযোগ, আবার ফিরছে আতঙ্কের পরিবেশ । সৌরভের বাবা মা দাদা প্রশ্ন তুলছেন, সৌরভের আত্মদান কি বিফলে যাবে ? এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ এখন ঠুটো জগন্নাথ । তারা শোনেই না সাধারণ মানুষজনের অভিযোগ । কোনও সুরাহা হয়নি পুলিশ ফাঁড়ি গঠন করে । নারীদের নিরাপত্তা প্রায় নেই বললেই চলে, অভিযোগ তাঁদের । তাঁদের অভিযোগ, গণ ধর্ষণের বিষয় কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতে পারে না । বর্ষবরণের রাতের গণধর্ষণ আতঙ্কের উপত্যকার বাস্তব পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে । বৃহস্পতিবার বামনগাছি গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত তিনজনকে নিয়ে আসা হয় বারাসত আদালতে । ধৃত তিন জন রতন দাস ওরফে তোতা, মৃণাল বিশ্বাস, সৌগত সরকার পুলিশের গাড়ি থেকে আদালতের লক আপে যেতে যেতে উদ্ধত ভাবে জানিয়ে যায় গণমাধ্যমকে তারা কোনও কথা বলবে না । তাদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয় দত্তপুকুর থানার পক্ষ থেকে। রায়টি প্রাথমিক ভাবে না দেওয়া হলেও শেষপর্যন্ত বিচারক তাদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।প্রসঙ্গত, বর্ষবরণের রাতে দত্তপুকুর থানার বামনগাছি কুলবেড়িয়াতে এক মধ্যবয়সী মহিলার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢোকে চারজন। তারা দল বেধে পাশবিক অত্যাচার করে মহিলার উপর। অচৈতন্য অবস্থায় তাকে ওই রাতে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। ধর্ষিতা ওই মহিলার মুখ থেকে ঘটনা শুনে পরে স্থানীয় তিন জনকে আটক করে পুলিশ। আজ বারাসাত আদালতে গোপন জবানবন্দী দেওয়ার সময় নির্যাতিতা বলেন দলে চার জন ছিল। পুলিশ তিনজনকে ধরেছে মাত্র। তার দাবী, যে অন্যায় হয়েছে তাঁর সঙ্গে, তার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিক আদালত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bamangachi gang rape case, Barasat, Gang Rape, Police Custody