ইতিহাস গড়ে আন্তর্জাতিক সম্মান পেতে চলেছে আসানসোল পুরনিগম

Last Updated:

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই কুলটির জল প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়িত হয়েছে। এই প্রকল্পের কৃতিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই আন্তর্জাতিক সম্মান আমরা তাঁকেই উৎসর্গ করব', আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি

#কলকাতা :-  ইতিহাসের দোরগোড়ায় আসানসোল পুরনিগম। রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের নিরিখে  আসানসোল পুরনিগম এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক সম্মানের দোরগোড়ায়। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই  কুলটির জল প্রকল্পের বাস্তবায়নের কারণেই মিলল আন্তর্জাতিক সম্মানে অংশ নেওয়ার সুযোগ।
মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন,  পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল পুরনিগম  যারা কুলটির জল প্রকল্প সঠিক নিয়ম মেনে  নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাস্তবায়ন করার জন্য ওয়াশিংটনের একটি সংস্থার পক্ষ থেকে অসাধারণ অবদানের জন্য  ' সার্টিফিকেট অফ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড'-এ মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তা আন্তর্জাতিক স্তরে গৃহীত হল।
ওয়াশিংটনের  একটি সংস্থার তরফে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের নিরিখে সম্মানিত করা হয়। সেই প্রতিযোগিতাতেই  আসানসোল পুরনিগম 'কুলটির জল প্রকল্প' নিয়ে সামিল হল'। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটির জল সংকট দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে জলের হাহাকারে প্রায় দিনই অবরোধ,  অশান্তি লেগেই থাকত। জল নিয়ে কম রাজনীতিও হয়নি। সেই বাম জমানা থেকে কম দূর্ভোগ পোহাতে হয়নি কুলটির মানুষকে। অবশেষে দেরিতে হলেও জল প্রকল্পের অনেকটাই বাস্তবায়নে স্বস্তির নিঃশ্বাস  ফেলেছেন শহরবাসী। যে প্রকল্পের জন্য আসানসোল পুরনিগম আন্তর্জাতিক সম্মান পাওয়ার লক্ষ্যে  মনোনয়ন জমা করেছে সেই কুলটির জল প্রকল্প 343 কোটি টাকার। প্রাথমিক পর্যায়ে যে প্রকল্পে 225 কোটি টাকা ইতিমধ্যেই খরচ করা হয়ে গেছে। সম্প্রতি দুর্গাপুরের একটি অনুষ্ঠান থেকে বেশ কিছু প্রকল্পের পাশাপাশি এই কুলটির জল প্রকল্পেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
advertisement
পুরনিগমের জল দপ্তরের মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায় বলেন , এই জল প্রকল্পের আওতায় শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ন'টি নতুন ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক, বেশ কয়েকটি ভূগর্ভস্থ উচ্চ জল সংরক্ষণ ক্ষমতা সম্পন্ন জলের ট্যাঙ্ক, এগারোটি পুরনো জলের ট্যাঙ্কের ভরসা দামোদরের জল। মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায় এও বলেন,' আমরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছি, কুলটি এলাকায় 62 হাজার 372 টি হাউস কানেকশন দিলেই জল সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে 32 হাজার 350 টি হাউস  কানেকশনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হবে। ইতিমধ্যেই 10 হাজারেরও বেশি নাগরিকের ঘরে ঘরে  কানেকশন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকি প্রক্রিয়াও এগোচ্ছে। প্রতিদিন কুলটির মানুষের যে জলের চাহিদা তা পুরোটাই আমরা পূরণ করতে পারব'।
advertisement
আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি  এই আন্তর্জাতিক সম্মান প্রসঙ্গে উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, '2020  সালের জুন মাসে পর্যন্ত কুলটির জল প্রকল্পের সময়সীমা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ এবং অনুপ্রেরণায় আমরা সেই কাজটি 2019 সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ করে ফেলেছি। আমাদের লক্ষ্য , প্রতি নাগরিকের ঘরে ঘরে চব্বিশ ঘন্টা বিনামূল্যে জল পৌঁছে দেওয়া।
advertisement
মেয়র এবং মেয়র পারিষদের কথায়,  '2016 সালে কুলটিতে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে এসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে পারেন , তিন লাখেরও বেশি মানুষ বাম জমানার ৩৪ বছর রাজত্বের পরেও পানীয় জল থেকে বঞ্চিত কুলটিবাসী। সেই বঞ্চনার জবাব দিতে তিনি দ্রুত উদ্যোগ নেন এবং তাঁর নির্দেশ মত আমরাও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কুলটির জল প্রকল্পের কাজ শুরু করি। পরিবেশকে নষ্ট না করে যে পদ্ধতিতে জল তোলা হচ্ছে তা যেমন দেখা হচ্ছে,  পাশাপাশি কারিগরি বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে'। আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি  বললেন,' আমরা আশাবাদী পুরনিগমের মুকুটে আন্তর্জাতিক পালক যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে। পাশাপাশি তাঁর আগাম ঘোষণা ,' মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই কুলটির জল প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়িত হয়েছে। এই প্রকল্পের কৃতিত্ব  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই আন্তর্জাতিক সম্মান আমরা তাঁকেই  উৎসর্গ করব'।
advertisement
VENKATESWAR  LAHIRI 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ইতিহাস গড়ে আন্তর্জাতিক সম্মান পেতে চলেছে আসানসোল পুরনিগম
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement