SARADINDU GHOSH
#বর্ধমান: পটনায় রহস্য মৃত্যু বর্ধমানের নর্তকীর। পাটনায় বাড়ির পাশ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ডলি কর্মকার নামে ওই তরুণী বাড়ির ছাদে গিয়েছিল। পরিবারের দাবি, ডলিকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে খুন করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাঁর দিদি মৃতদেহ নিয়ে বাড়িতে এলে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। ঠিক কি ঘটেছিল জানতে পাটনার সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ।
ডলি ও মলি দুই বোন। বর্ধমানের বড়নীলপুরে তাঁদের বাড়ি। শপিং মলে কাজ করায় যাতায়াতের সুবিধার্থে তাঁরা শ্রীরামপুরে থাকত একসঙ্গে। কাজও করত দুই বোন একসঙ্গে। সেখান থেকেই তাঁরা ছ'মাস আগে পটনা চলে যায়। প্রাথমিক তদন্তে বর্ধমান থানার পুলিশ জানতে পেরেছে, দুই বোন নর্তকীর কাজ করত। পাটনার হনুমাননগর কালীমন্দিরের কাছে দিদি মলির সঙ্গে এক বাড়িতেই থাকত ডলি। দিদি মলির দাবি, মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই বাড়ির ছাদে ছিল ডলি। চা খাওয়ার জন্য ডাকা হলেও সে আসেনি। এরপরই পাড়ার কয়েকজন খবর দেয় নিচে পড়ে রয়েছে ডলি। এরপর স্থানীয়দের সাহায্যে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর তার দেহ নিয়ে বর্ধমানে বাড়িতে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক যুবককে সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় ডলির। তার জেরে দু বোনের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছিল। সেই সম্পর্কের ব্রেক-আপ হয় কয়েক দিন আগে। তার জেরে মনমরা ছিল সে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রেমে ব্যর্থতার জেরেই এই মৃত্যুর ঘটনা। তবে এই মৃত্যু খুন নাকি আত্মহত্যা, তা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে। তবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরও কিভাবে সেখানকার পুলিশ ময়না তদন্ত না করেই দেহ ছেড়ে দিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি ইতিমধ্যেই পটনা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা কতদিন সেখানে ছিল, কোথায় কী কাজ করত, ঠিক কী ঘটেছিল, সেখানে ময়না তদন্ত হনি কেন সব জানার চেষ্টা চলছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।