#সামশেরগঞ্জ: পৌষ সংক্রান্তির কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যেই ভিটে হারা হলেন সাতটি পরিবার ।ফের গঙ্গা ভাঙন সামশেরগঞ্জে। নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুর গ্রামে বুধবার গভীর রাতে সাতটি বাড়ি তলিয়ে যায় গঙ্গাগর্ভে। আরও ৫০ টি বাড়ির মত তলিয়ে যাওয়ার শুধু সময় অপেক্ষা। অবিলম্বে গঙ্গা ভাঙনের কাজ ও পুনর্বাসনের দাবিতে সোচ্চার গ্রামবাসীরা।সামশেরগঞ্জের বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুন্ডা জানান, "ঘটনার খবর পাওয়ায় আমি পরিদর্শনে যাই। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলি এই ঠাণ্ডায় তাদেরকে কম্বল দিয়ে আসি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি।" রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, এই ঠাণ্ডার মধ্যে আবার ভাঙন শুরু হওয়ায় মানুষগুলো খুব সমস্যার মধ্যে পড়েছে। ওই পরিবারগুলোর পাশে আমরা আছি। ভাঙন রোধের কাজ যাতে তাড়াতাড়ি শুরু হয় সেজন্য সেচ দফতরকে বলা হয়েছে।"
গঙ্গার জল স্তর কমতেই ফের ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে সামশেরগঞ্জে। বুধবার রাতেই তলিয়ে যায় সামশেরগঞ্জ কামালপুরে সাতটি বাড়ি। তলিয়ে যায় কয়েক বিঘা জমি ও গ্রামের রাস্তা। শীতের কনকনে ঠাণ্ডায় খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে ভাঙন বিধ্বস্ত নিঃস্ব অসহায় পরিবার গুলো। প্রসঙ্গত গত অগাস্ট মাস থেকে সামশেরগঞ্জ ধানঘরা, শিবপুর , ধুসরীপাড়া গঙ্গা ভাঠনের ফলে কয়েকশো বাড়ি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যায়। তলিয়ে যায় একাধিক স্কুল বাড়ি থেকে অঙ্গনারী কেন্দ্র। কৃষিজমি থেকে আম বাগান সবই তলিয়ে যায়। এখনও তারা পুনর্বাসন পাইনি। এরই মধ্যে আবার নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায়, শুরু হয়েছে নতুন করে আতঙ্ক। ফারুক শেখ বলেন, "হঠাৎ করে গঙ্গার জল স্তর কমে যায়। তারপরে নতুন করে শুরু হয়েছে ভাঙন। সন্ধ্যা থেকেই অল্প অল্প ভাঙন হচ্ছিল। এরপরের রাতের মধ্যে গোটা বাড়ি তলিয়ে গেল জলের মধ্যে। পরিবার নিয়ে আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। সরকারের একটা ব্যবস্থা করুক আমরা তাই চাইছি।" সাবিনা বিবি বলেন, "দু-দুবার এর আগে বাড়ি ভেঙে গেছে। তৃতীয়বার বাড়ি তৈরি করেছিলাম তাও চলে গেল। ঠাণ্ডার মধ্যে পরিবার নিয়ে রাস্তার ওপরে রয়েছি। আমাদের ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই। সরকার যদি পুনর্বাসন না দেয় তাহলে রাস্তায় হবে আমাদের আশ্রয়।"
PRANAB KUMAR BANERJEE
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: River erosion