কোলাঘাট: কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের কাছে বয়স শুধুমাত্র সংখ্যা। যে বয়সে ঘরে বসে বিশ্রাম করার কথা, সে বয়সেও দিব্যি হাটে বসে সবজি বেচাকেনা করে চলছেন কোলাঘাটের লক্ষ্মীবালা দেবী। তাঁর বয়স পেরিয়েছে ১০২। কিন্তু জীবন যুদ্ধ বা সংসারের লড়াইয়ে থেমে থাকা নয়। তিনি এই বয়সেও মেরুদন্ড সোজা রেখে হেঁটে চলার প্রত্যয়ী। আর তাঁর এই জীবন যুদ্ধের কাহিনী আশেপাশের অন্যান্য দোকানদার ও স্থানীয় মানুষজনকে প্রেরণা জুগিয়ে চলছে।
অভাবের ঘরে স্বামীর হাত ধরে সংসারে আসা অল্প বয়সেই। সংসারের অভাব দূর করতে শুরু করেন সবজি ব্যবসা। এ যেন এক হার না মানা জেদ, যেখানে বয়স সংখ্যা মাত্র।
আরও পড়ুনঃ 'নিভৃতে থাকুক প্রেম, বারোয়ারি হতে চাইনি', দোলের দিনে কেন এমন বললেন আবীরে রাঙা বৈশাখী? তোলপাড়
লক্ষীবালা দেবীর জন্ম ১৯২০ সালে কোলাঘাটের বাগডিহা গ্রামে। ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে আসেন যোগীবেড় গ্রামে। স্বামীর অভাবের সংসার। সেই থেকেই জীবন যুদ্ধের লড়াই শুরু। যে লড়াইয়ে আজও তিনি সামিল। বয়সের কারণে কানে কম শুনেন, চোখেও অনেকটাই কম দেখেন। হাঁটতে পারেন না ঠিকঠাক, তবুও হাটে সবজি বিক্রি করা ছাড়েননি। বর্তমানে ছেলে নাতিরা মানা করলেও তিনি সবজি বিক্রি ছাড়েননি। তার এই হার না মানা জেদের কাছে হার মেনেছে ছেলে। কোলাঘাটের বাজারে ছেলে গৌরের চা দোকান রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বৃহস্পতিবারই আবহাওয়ার ব্যাপক বদল, ঝেঁপে ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা জেলায় জেলায়, রইল পূর্বাভাস
প্রতি সপ্তাহে হাটবারের দিনগুলিতে লক্ষীবালা দেবী ছেলের সাইকেলে করে ভোর ৩'টেয় হাটে আসেন। স্থানীয় চাষীদের কাছ থেকে শাকসবজি আনাজ কিনে নিয়ে, হাটে বসে দুপুর পর্যন্ত কেনাবেচা করেন। লক্ষ্মীবালা দেবীর এই বয়সে হাটে বসে শাক সবজি বিক্রি করা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা অসীম দাস জানান, '১০২ বছর বয়সেও একজন মানুষ সংসারে বোঝা হতে চাইছেন না। তার এই হার না মানা জেদ অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।' জীবন সংগ্রামে অনেক নারীর কাহিনী আমরা শুনতে পাই কিন্তু কোলাঘাটের লক্ষ্মীবালা দেবীর জীবন সংগ্রাম সবকিছুকে ছাপিয়ে।
Saikat Shee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।