জয়নগর: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ও বাংলাদেশ জল সীমান্তের শেষ ব্লক হল গোসাবা। সুন্দরবন এলাকাধীন এই ব্লক এলাকায় ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে যা আবার ৯ টি দ্বীপের মধ্যে অবশিষ্ট।আর সব মিলিয়ে গোসাবা ব্লক এলাকায় বসবাস করেন ২ লক্ষ ৪৭ হাজারের মতো মানুষ। গোসাবা ব্লক এলাকায় একটিও সেতু নির্মাণ হয়নি।যে কারণে একটি দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যেতে এখনও মানুষের ভরসা বলতে গেলে চিরাচরিত নৌকা।
আরও পড়ুন: সেনার অনুশীলন চলাকালীন হাতির মৃত্যু, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে সেনা ও বন দফতরের বিশেষ বৈঠক
এহেন গোসাবার একেবারে দূরবর্তী শেষ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা হল কুমিরমারি। এর পাশের পঞ্চায়েত আমতলী। রাতবিরেতে এই দূরবর্তী এলাকা থেকে রোগী কিংবা প্রসূতিদের জরুরি অবস্থায় জলপথে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসতে সময় লেগে যায় প্রায় চার ঘণ্টা। সেই সমস্যাকে মাথায় রেখেই গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল অত্যাধুনিক শীততাপ নিয়ন্ত্রিত স্পিডবোর্ড কেনার জন্য ৫১ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন৷
আরও পড়ুন: সেনার অনুশীলন চলাকালীন হাতির মৃত্যু, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে সেনা ও বন দফতরের বিশেষ বৈঠক
মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যেই চার ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে রোগীকে পৌঁছে দেবে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল কিংবা ছোট মোল্লাখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।যদিও তার জন্য প্রায় চল্লিশ লিটার পেট্রোল খরচ হবে।গোসাবা ব্লক এলাকা মধ্যে থাকা সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও সুন্দরবন উপকূল থানার পুলিশ তাদের জন্য স্পিডবোর্ড থাকলেও গোসাবার বিডিও কিংবা হাসপাতালের জরুরি ভিত্তিতে কাজের ক্ষেত্রে কোন স্পিডবোর্ড এতদিন ছিল না।সেই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই বিধায়ক তার তহবিল থেকেই এই স্পিডবোটটি কিনেছেন বলে জানিয়েছেন।
সুমন সাহা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Gosaba, South 24 Parganas, South bengal news, Water ambulance