South 24 Parganas News: স্বাস্থ্যকেন্দ্র না ভুতুড়ে বাড়ি! সুন্দরবনের মানুষকে চিকিৎসা পেতে ছুটতে হচ্ছে ৩৫ কিমি

Last Updated:

ঘাস, আগাছার জঙ্গলে ঢেকেছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পরিষেবা নিতে আসা রোগীরা সর্বক্ষণ সাপের আতঙ্কে সিঁটিয়ে থাকেন। এমনই চিত্র কুলতলি ব্লকের মৈপীঠের ভুবনেশ্বরী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।

+
বেহাল

বেহাল দশা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভুতুড়ে বাড়ি। ঘাস, আগাছার জঙ্গলে ঢেকেছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রতিদিনই সাপ, কীটপতঙ্গের উপদ্রব বাড়ছে। পরিষেবা নিতে আসা রোগীরা সর্বক্ষণ সাপের আতঙ্কে সিঁটিয়ে থাকেন। চিকিৎসা পরিষেবা একেবারে তলানিতে পৌঁছেচে। নিত্যদিন মানুষকে এর জন্য ৩৫ কিলোমিটার দূরে জয়নগর-কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে। এমনই চিত্র কুলতলি ব্লকের মৈপীঠের ভুবনেশ্বরী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন কারও নজর নেই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দিকে। যার জেরে প্রয়োজনীয় সুবিধা না পেয়ে গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ।
এই প্রসঙ্গে গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী পঞ্চায়েতের প্রধান বাবলু প্রধান বলেন, সত্যি খুব খারাপ অবস্থা। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সব জায়গায় জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। আর কুলতলির বিধায়ক বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী পঞ্চায়েতের মানুষ নির্ভরশীল। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দশাও একেবারে শোচনীয়। ঘরের ছাদ থেকে জল পড়ে। দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০টি শয্যা আছে। তার অবস্থা ও খারাপ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢোকার রাস্তার দু’পাশ জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ঘাস, আগাছায় – রাস্তাটুকু ঢেকে গিয়েছে। একজন ফার্মাসিস্ট, একজন নার্স, একজন চিকিৎসক আছেন এখানে।
advertisement
advertisement
ভুক্তভোগী রোগীরা বলেন, খুব খারাপ অবস্থা কয়েক বছর ধরে চলছে। সাপের ভয়ে অনেকে এখানে আসতে পারেন না। পঞ্চায়েত থেকে পরিষ্কারও করে দেয় না। এখানে ঠিকমতো চিকিৎসা পাওয়া যায় না, পাওয়া যায় না ওষুধও। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র যে কোনও দিন ভেঙে পড়বে। সপ্তাহে সোমবার থেকে বুধবার একজন চিকিৎসকের আসার কথা। তাও ঠিকমতো তিনি আসেন না। বাকি দিন পরিষেবা দেয় ফার্মাসিস্ট ও নার্স। তারপরে নার্স না এলে ফার্মাসিস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত থেকে চলে যান। রোগের বাড়াবাড়ি হলে গাড়ি ভাড়া করে সাধারণ মানুষকে ৩৫’ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। অবিলম্বে প্রশাসনের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
সুমন সাহা
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ ২৪ পরগনা/
South 24 Parganas News: স্বাস্থ্যকেন্দ্র না ভুতুড়ে বাড়ি! সুন্দরবনের মানুষকে চিকিৎসা পেতে ছুটতে হচ্ছে ৩৫ কিমি
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement