কাকদ্বীপ: মাত্র ৪০ দিনের মাথায় বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল কাকদ্বীপ থানা। লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ লক্ষেরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুই মহিলা-সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কল সেন্টার চালিয়ে তারা এই প্রতারণার কারবার করত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
ধৃতদের শনিবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হলে, বিচারক ধৃতদের তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, পলাশ জানা নামে ওই ব্যক্তির কাছে কয়েক মাস আগে একটি ফোন আসে। তাঁর ঋণ লাগবে কি না, জানতে চাওয়া হয়। সম্মতি দিলে ফোনের ওপার থেকে বলা হয়, ৩৭ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: পুকুরে ভেসে উঠল দৈত্যাকার প্রাণী! পরক্ষণেই ডুব, ভয়ে কাঁটা এলাকার মানুষ!
আরও পড়ুন: মাঝসমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক! মৎস্যজীবীর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য চারদিকে
এরপর নানা নথিপত্র, তথ্য দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে ফোন করে প্রতারকরা। তারা লোনের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার জন্য টাকা জমা দিতে বলে। বেশ কয়েক ধাপে পলাশবাবু পাঁচ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা তাদের পাঠায়। পরে তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এরপরই পলাশবাবু ১৬ ফেব্রুয়ারি কাকদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরই পুলিশ তদন্তে নামে। যে ফোন নম্বরগুলি থেকে তাঁকে ফোন করে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তার সূত্র ধরে শেষমেশ শুক্রবার রাতে নাগেরবাজার এলাকা থেকে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম, শুভদীপ কুণ্ডু, তমাল চক্রবর্তী, কল্লোল আইচ, নাজিয়া ফিরদৌস এবং লিজা কুমারী দাস। এই প্রতারণাচক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। প্রতারিতদের টাকা ফেরানো যায় কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Fraud Case, West bengal Police