Photash Jol: প্রচণ্ড গরমে তেষ্টা মেটাতে ‘ফটাস জল’ আজও জনপ্রিয় পানীয়

Last Updated:

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম ফটাস জল। এটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়া আর কোথাও তেমনভাবে দেখতে পাওয়া যায় না। 

+
title=

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু মজাদার জিনিসের মধ্যে অন্যতম ফটাস জল। কী এই ফটাস জল? এই ফটাস জল শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় একটি বিখ্যাত পানীয়। এই জল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়া আর কোথাও তেমনভাবে দেখতে পাওয়া যায় না। এক সময় কম বেশি চোখে পড়তো শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লোকাল ট্রেনগুলিতে। বেশ কিছু হকাররা, এই দক্ষিণ শাখার ট্রেনে হঠাৎই কানের পাশে একটা বোমফাটার মতো আওয়াজ করে খুলে ফলেত এই পানীয়ের বোতল। তারপর হাতে ধরিয়ে দিয়ে সেটি মানুষ তৃপ্তি করে পান করত। এ ছবি শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেনে প্রতিনিয়ত দেখা মিলত।
সাধারণ জলের সঙ্গে ‘কার্বন ডাইঅক্সাইড’ দ্রবীভূত করে তৈরি হয় এই ‘সোডা ওয়াটার’, তবে এ তল্লাটে এই বিশেষ পানীয়টি ‘ফটাস জল’ নামেই বেশি পরিচিত। এই পানীয় মূলত কাঁচের বোতলে ভরেই বিক্রি হয়। ওপেনার দিয়ে বিক্রেতারা বোতলের মুখটি দ্রুত খোলেন, তাতেই পটকা ফাটার মতো একটি আওয়াজ হয়। জানা গিয়েছে, বোতলের মুখ খুলতে গিয়ে এমন আওয়াজের জন্যই এই পানীয়ের নাম হয়েছে ‘ফটাস জল’।
advertisement
advertisement
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেনে মানুষ কখনও বাদুরঝোলা হয়ে আবার একটু একটু করে ঠেলে ঠুলে ভিতরে প্রবেশ করতে হয় ৷ প্রচণ্ড ভিড় হয় এই দক্ষিণ শাখার ট্রেনে। আর এই ভিড়ের মধ্যে তীব্র গরমে মানুষ যখন হাঁসফাঁস করছে। তখনই হকার থেকে একটা ফটাস জল খেয়ে একটু গলা ভিজিয়ে অনেকটাই তৃপ্তি এনে দেয় যাত্রীদের তবে আইনের বেড়াজালে অবশেষে ট্রেনের মধ্যে এই ফটাস জল বিক্রি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জেলার এই বিখ্যাত ফটাস জল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়নি। ট্রেন ছাড়া স্টেশন চত্বরে ও বিভিন্ন এলাকায় এই বিখ্যাত ফটাস জলের কিন্তু চাহিদা অনেকটাই বেশি।
advertisement
ফটাস জল তৈরির ব্যবসায় দীর্ঘদিন ধরে জড়িত সুজাউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘‘প্রধানত ট্রেনের কামরায় রমরমা চলত এই ফটাস জলের ব্যবসা। হঠাৎ নিষেধাজ্ঞায় প্রথমে কিছুটা থমকে গিয়েছিল, তবে এবারের তীব্র গরমে আবারও লাভে মুখ দেখছে এই ফটাস দলের ব্যবসা। বছর খানেক আগেও ২টাকাতেই মিলত এই জল। তবে এখন সব কিছুরই দাম বাড়ার জেরে এর দামও বেড়েছে। বোতল পিছু ‘ফটাস জল’ এখনও ৫ টাকাতেই মেলে। তবে ফটাশ জল শুধু খেলে দাম পড়বে ৫ টাকা। সেই জলে আবার লেবু মিশিয়ে খেতে গেলে আরও পাঁচ টাকা অর্থাৎ মোট ১০ টাকা খরচ করতে হবে।’’
advertisement
কথায় আছে না দুধের স্বাদ ঘোলে মেটা ৷নো ঠিক তেমনি এই ফটাস জল কিন্তু অনেক মধ্যবিত্ত গরিব মানুষের মধ্যে দুধের স্বাদ ঘোলেও মেটায়। তার কারণ নামিদামি ব্র্যান্ডের কোল্ড ড্রিঙ্কস যারা খেতে পারেন না, তারাই কিন্তু এই ফটাশ জল খেয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটান। তবে সেই আগের মত এখনও প্রচুর চাহিদা আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এই ফটাস জলের।
advertisement
সুমন সাহা
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ ২৪ পরগনা/
Photash Jol: প্রচণ্ড গরমে তেষ্টা মেটাতে ‘ফটাস জল’ আজও জনপ্রিয় পানীয়
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement