South 24 Parganas- গোমুখ থেকে গঙ্গাসাগর সাইকেলে যাত্রা সুরকার শান্তনু মৈত্র-র

Last Updated:

কোভিড মৃতদের স্মৃতিতে গোমুখ থেকে গঙ্গাসাগর সাইকেলে যাত্রা সুরকার শান্তনু মৈত্র-র

সাইকেল চালিয়ে গোমুখ থেকে গঙ্গাসাগরের সুরকার শান্তনু
সাইকেল চালিয়ে গোমুখ থেকে গঙ্গাসাগরের সুরকার শান্তনু
রুদ্র নারায়ন রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কোভিডে মৃত মানুষদের শ্রদ্ধা জানিয়ে, সাইকেলে গোমুখ থেকে গঙ্গাসাগর যাত্রা সুরকার শান্তনু মৈত্র-র। এদিনই তিনি পৌঁছেছেন গঙ্গাসাগরে। যখন শুরু করেছিলেন যাত্রা, তখনও ভাবেননি সত্যিই সাইকেল নিয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন এতটা পথ। অ্যাডভেঞ্চার তো ছিলই, পাশাপাশি পুরো যাত্রাপথে তাঁর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে অতিমারিতে মৃত বহু মানুষের স্মৃতি।
গঙ্গাসাগরে তাঁর সঙ্গে মা এবং স্ত্রী এসেছেন। শান্তনু তাঁর বাবাকে হারিয়েছেন আড়াই মাস আগে। কোভিডে মৃত বাবার দেহ শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পর্যন্ত হয়নি। সেই বেদনা কুরে কুরে খায় শিল্পীকে। জানালেন, যখন একশো দিনের হিমালয় অভিযানে বেরিয়েছিলেন, তখন বাবার উৎসাহ ছিল দেখার মতো। নিয়মিত খোঁজ নিতেন ছেলের। কিন্তু এ বার অভিযান শুরুর আগেই হয় পিতৃবিয়োগ। বাবার পারলৌকিক অনুষ্ঠানেরও সুযোগ পাননি। সুরকার শান্তনু মৈত্রর এই যাত্রা তাই বাবাকে স্মরণ করেই। সেই সঙ্গে কোভিডে মৃতদেরও শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন শিল্পী। শান্তনু বললেন, ‘‘কোভিড পুরো পরিকল্পনাটা নষ্ট করে দিল। আমার মতো বহু মানুষকে কোভিড একলা করে দিয়েছে। একাকিত্বের চেয়ে বড় অভিশাপ কিছু হতে পারে না। বাবার হঠাৎ চলে যাওয়াটা এখনও মেনে নিতে পারিনি। যখন উনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তখনও দেখা করতে পারিনি। মারা যাওয়ার পরেও দেখতে পাইনি বাবাকে।’’
advertisement
সন্ধে তখন নামে নামে। আবছা হয়ে আসা গঙ্গাসাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে শান্তনু বলে চলেছিলেন, ‘‘মনে হল আমি কী করতে পারি? আমি গঙ্গার সঙ্গে আছি, গঙ্গাসাগর পর্যন্ত যাচ্ছি। যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের বেশ কিছুজনের সঙ্গে কথা বলেছি। হারিয়ে যাওয়া স্বজনের ছবি পাঠাতে বলেছিলাম। প্রায় হাজারখানেক ছবি এসেছে। সবার সাথে জড়িয়ে আলাদা আলাদা গল্প। এই সব নিয়ে আমার এই সফর। আমি এঁদের স্মৃতি নিয়ে এসেছি"। সে স্মৃতি ধরে রাখারও ব্যবস্থাও হয়েছে।
advertisement
advertisement
শান্তনু জানালেন, গঙ্গাসাগরে শ্রীধাম হাইস্কুল তাঁকে একটা জায়গা দিয়েছে। সেখানে করোনার কারণে মৃত্যু হওয়া মানুষদের স্মৃতিতে সৌধ বেদি বানানো হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে 'অন্তিম যাত্রা' সৌধ। কোভিডে মৃতদের ছবি ছাপানো হয়েছে বিশেষ ধরনের কাগজে। সেই বেদিতে সংরক্ষণ করে রাখা হবে তাদের সেই ছবি। বেদিতে লাগানো হবে তুলসি গাছ। স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা তাতে জল দেবে।
advertisement
শান্তনু বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট না করে, এই স্মৃতি কী ভাবে রক্ষা করা যায়, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন। কানপুরের এক যুবকের সহযোগিতায় তুলো দিয়ে বিশেষ ধরনের কাগজ তৈরি হয়েছে। সেখানেই ছাপা হয়েছে সকলের ছবি। গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দিরের পাশাপাশি, তীর্থযাত্রীদের কাছে এটাও কোভিডের স্মরণিকা হিসেবে দর্শনীয় স্থান হয়ে থাকবে বলে আশা শান্তনুর।
advertisement
প্রত্যেক দিন ৮০-১০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়েছেন বলে জানালেন সুরকার। গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে অল্প চোটও পান এই সুরকার।এই সফরকাহিনী নিয়ে একটি মিউজ়িক অ্যালবামও প্রকাশ করার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানালেন সুরকার শান্তনু মৈত্র।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ ২৪/
South 24 Parganas- গোমুখ থেকে গঙ্গাসাগর সাইকেলে যাত্রা সুরকার শান্তনু মৈত্র-র
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement