শিলিগুড়ি: পরিবারের চারজন সদস্য। চারজনই গুরুতর অসুস্থ। এদিকে সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরনো অবস্থা। এমনই দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে পড়েছেন শিলিগুড়ির জিতেন সূত্রধর। তিনি একসময় কাঠের মিস্ত্রি ছিলেন। বর্তমানে বয়স হয়েছে। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ও স্ত্রী কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। এদিকে ছেলে দীপঙ্কর সূত্রধর ও মেয়ে তাপসী সূত্রধর দু'জনেই প্যারালাইসড হয়ে শয্যাশায়ী।
জিতেন সূত্রধরের বয়স হয়েছে। এদিকে কয়েক মাস আগে দুর্ঘটনায় তিনিও কাজের ক্ষমতা হারিয়েছেন। আশা ছিল ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে তাঁদের দেখভাল করবে। মেয়ে তাপসী কিছুদিন আগে স্নাতক পাস করেন। কিন্তু চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে সম্পূর্ণভাবে শয্যাশায়ী অবস্থায় তাঁর দিন কাটছে। ছেলে দীপঙ্কর উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর আদালতে মুহুরির কাজ করতেন। কিন্তু তিনিও হঠাৎই পক্ষঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সূত্রধর পরিবারে রোজগেরে বলতে আর কেউ নেই।
আরও পড়ুন: ছেলের বায়না সামাল দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরা হল না বাবার
পরিবারটির এই অসহায় অবস্থার কথা জানতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তাঁর উদ্যোগে রামকৃষ্ণ বেদান্ত আশ্রম সূত্রধর পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের আগামী দু'মাসের খাবারের যাবতীয় দায়ভার তাঁরা গ্রহণ করেছেন।
এই সাহায্য প্রসঙ্গে রামকৃষ্ণ বেদান্ত আশ্রমের স্বামী রাঘবানন্দ মহারাজ বলেন, একই পরিবারের চারজন সদস্যের এমন অবস্থা দেখে সত্যিই কষ্ট হচ্ছে। আমরা যতটা পেরেছি সাধ্যমত তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। শিলিগুড়ির সকল মানুষের কাছে আমাদের আবেদন, আপনারা এই পরিবারটির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
অনির্বাণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Siliguri News