শিলিগুড়ি : নাম না জানা বিদেশি ফলের বাগান বানিয়ে চমক স্কুল শিক্ষকের। সত্যিই নিলয় বাবুর বাগানে গেলে চমকে যাবে না আপনিও। এমন এমন ধরণের বিদেশি ফুল, ফলের গাছ রয়েছে যার নাম আপনি কোনদিনও শোনেননি । এই সবটাই নিলয়বাবু সংগ্রহ করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক। ছুটিতে কোথাও বেড়াতে গেলে সকলে কিছু হলেও জিনিস বাড়িতে নিয়ে আসেন। ঠিক তেমনই ও নিলয়বাবু কোথাও বেড়াতে গেলে সেই অঞ্চলের গাছ বা ফুল নিয়ে আসেন। যখনই নতুন ধরনের কোন ফলের গাছ দেখতে পান তখনই সেটা নিয়ে চলে আসেন।
শিব মন্দিরের মেডিকেল মোড়ে বাড়ি নিলয় বাবুর । বর্তমানে শিলিগুড়ির বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠ শিক্ষকতা করেন। তাঁর কথায়, মানুষ যখন চাপে জর্জরিত হয়ে রয়েছে, তখন মন ভালো করতে বাগান পরিচর্যা অন্যতম শান্তির রসদ হতে পারে । তাই অবসর সময়ে বিভিন্ন ফলের গাছ, ফুলের গাছ লাগিয়ে তিনি নিজের সময় কাটান। প্রায় ১০০ ধরণের বিদেশি ফলের গাছ, ফুলের গাছ তার বাগানের শোভা বাড়াচ্ছে। ৩০ ধরনের আম, ব্রাজিলের কোকো, দুরিয়ান, মঙ্গস্ট্রি, চেরি ব্লসম, পিংক জ্যাকফ্রুট, বানানা ম্যাঙ্গো, প্যাশন ফ্রুট, সহ আরও অনেক ধরণের ফলের সম্ভার রয়েছে তাঁর বাগানে।
নিলয় দাস জানান, "প্রথমে নতুন নতুন গাছ দেখলে আমার ভাল লাগত এবং আমি সেগুলি বাড়িতে নিয়ে চলে আসতাম। তারপর ধীরে ধীরে আমি এক্সপেরিমেন্ট করা শুরু করলাম যেই গাছগুলি বিদেশের মাটিতে হয়, সেগুলিকে কি করে আমাদের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়, তারপর ধীরে ধীরে আমার পুরো বাগান ভরে গিয়েছে বিদেশি ফলের গাছে।"
ইতিমধ্যেই তিনি জাপানের মিয়াজাকি আম, ব্যানানা আম, প্যাশন ফ্রুট, ব্রাজিলের কোকো সহ নানান গাছে ফল আনতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আরও জানান, "আমার পরিকল্পনা যে এই বিদেশি ফল যদি আমি আমার বাগানে ফলাতে পারি, তাহলে স্থানীয় কৃষকরাও পারবে। এই ফল বাজারে অনেক দামে বিক্রি হয়। কৃষকরা যদি সেই চাষাবাদ করে আয়ের একটা পথ খুঁজে নিতে পারে তাহলে আমি ভীষণ খুশি হব।"
Anirban Roy
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।