Siliguri News: সাধারণ ঘরের মেয়ে, কঠিন লড়াইয়ের পথ পেরিয়ে জাতীয় গেমসে জিতলেন পদক, এবার নজরে অলিম্পিক্স
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
ন্যাশনাল গেমসে ব্রোঞ্জ জয়ী পূজার, এবার পাখির চোখ ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক্সে
#শিলিগুড়ি: এবছরের জাতীয় গেমসে অ্যাথলেটিক্সে বাংলার একমাত্র পদকজয়ী। গুজরাটের গান্ধিনগরে ৩৫ কিলোমিটার রেস ওয়াকে তাঁর জেতা ব্রোঞ্জ মুখরক্ষা করেছে বাংলার অ্যাথলেটিক্সের। দিনমজুর মায়ের মেয়ের লড়াই কিন্তু শেষ হয়নি। ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখা পূজার লড়াই ৩ ঘণ্টা ৩৩ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড নেওয়া সময়টাকে ২ ঘণ্টা ৫১ মিনিটে নামানোর। এটাই যে অলিম্পিকের বেঞ্চমার্ক, বছর দেড়েক সময়ে যা করা বলতে গেলে অসম্ভব পূজা অবশ্য তা মানছে না।
সালটা ২০১৯। অনেক স্বপ্ন নিয়ে কেরিয়ারের প্রথম স্টেট মিটে রেস ওয়াকিংয়ে নেমেছিলেন পূজা প্রামাণিক। কিন্তু মাঝপথেই মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার পর তাঁর জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। প্রচণ্ড পুষ্টির অভাব ছিল দরিদ্র পরিবারের মেয়ে পূজার শরীরে। কিন্তু লোকে সেটা বুঝলে তো! চারদিক থেকে ধেয়ে আসা বিদ্রুপে তিনি কিছুটা গুটিয়েই গিয়েছিলেন।
advertisement
advertisement
তবে এবার ন্যাশনাল গেমসে বাংলার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ব্রোঞ্জ জয় করে সবার মুখ বন্ধ করে দিয়েছে পূজা।তার বক্তব্য আমি কোনদিনও হার মানিনি ।একটা সময় ছিল রেস ওয়াকিং করে যে রাজ্য দেশের নাম উজ্জ্বল করা যায় সেটাই জানতাম না ।সেখান থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট সিনিয়র অ্যাটলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে কুড়ি কিলোমিটার এর রূপো জিতে ছিলাম । জাতীয় গেমস বুঝিয়ে দিয়েছে দেশের নিজের ইভেন্টে আমি তিন নম্বরে আছি। তাহলে এই ব্যবধানটুকু থাকে কেন।
advertisement
নিজের এই প্রবল আত্মবিশ্বাসের জন্য তিনি কৃতিত্ব দেন তার দুই কোচ অমিতাভ রায় ও মনোজ দাস কে। পূজা বলেছেন ওদের কথাতেই চলতি বছরের শুরুতে হরিয়ানাতে ট্রেনিং এর সুযোগ পাই এখন আছি উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে ওখানে সিনথেটিক ট্র্যাকে অনুশীলনের সঙ্গে দেশের সেরা রেস ওয়াকার দের সঙ্গে অনুশীলন আমাকে বদলে দিয়েছে। কিভাবে সেখানে প্র্যাকটিস চলে প্রশ্নের উত্তরে পূজার বলে যে আমরা ছয় সাত ঘন্টা দিনে ট্রেনিং করলেও একটানা করি না তিন ঘন্টা পাহাড়ে চললাম তো পরের তিন ঘন্টা সমতলে এতে বেশি চাপ নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়। নানান রকম সমস্যার মধ্যেও আমরা প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাই।
advertisement
পূজার মায়ের কথায় পূজার বাবা চলে যাবার পরে অনেক কষ্টের মধ্যে আমি মেয়েকে মানুষ করেছি। ওর বাবারও স্বপ্ন ছিল মেয়ে একদিন দেশের হয়ে সোনা নিয়ে আসবে। সোনা আসেনি ব্রোঞ্জ এসেছে। কিন্তু আমার মেয়ের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস সে একদিন সোনা জয় করে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে। আক্ষেপ একটাই পূজার বাবা সেটা দেখে যেতে পারল না। আজ ওর বাবা থাকলে খুব খুশি হত। ওর স্বপ্ন সফল করতে যা যা করার দরকার ও করুক। আমি চাই যেন ও ওর স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, তার জন্য যা যা দরকার আমি সবটাই করব।
advertisement
Anirban Roy
view commentsLocation :
First Published :
October 14, 2022 4:07 PM IST