Siliguri: নন্দোৎসবে তাল বিকোচ্ছে ৬০ টাকায়
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
বর্ষার মাস কেটে যেতেই ভাদ্র ছুটে এল,চারিদিকের তালগাছে সব তালগুলি পাকিল ৷ পাকা তালের রসে তৈরি হরেক রকম খাবার, তালের রসে ভাজা বড়া লাগল দারুণ সবার ৷
#শিলিগুড়ি : বর্ষার মাস কেটে যেতেই ভাদ্র ছুটে এল,চারিদিকের তালগাছে সব তালগুলি পাকিল ৷ পাকা তালের রসে তৈরি হরেক রকম খাবার, তালের রসে ভাজা বড়া লাগল দারুণ সবার ৷ লোকে বলে ভাদ্র মাসে খাওয়া চাই তাল, নইলে পরে জুটবে নাকো অন্ন-নুনে ডাল। কবি সুদীপ্ত সরকারের এই কবিতাটর প্রচলন বহু যুগ ধরে। কিন্তু যুগের কালে যেন মা ঠাকুমার আমল থেকে চলে আসা তালের তৈরি হরেকরকম খাবারের আমেজ যেন ধীরে ধীরে মুছতে চলেছে। জন্মাষ্টমীর সঙ্গে তালের তৈরি সামগ্রী একটা অন্যতম ভগবানের ভোগ হিসেবে মানা হয়। তালের রস, তালের বড়া, তালের পীঠা এসব গোপালের খুব প্রিয়। মা ঠাকুমারা বিশেষ করে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপালের জন্য সেসব ভোগ তৈরি করতেন।
advertisement
কিন্তু ২০২২ সালের এই আধুনিক যুগে বাড়িতে তালের তৈরি খাবার বানানোর ঝোঁক অনেকটাই কমেছে গৃহিণীদের মধ্যে। একদিকে গতিময় আধুনিক সমাজ আর অন্যদিকে ব্যস্ততার মধ্যে সময়ে অভাব। সব মিলিয়ে এখন যেন ধীরে ধীরে আধুনিক সমাজের গৃহস্থ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তালের প্রচলন।তাল রস থেকে খাবার সামগ্রী তৈরির ঝোক্কি এখনকার আধুনিক সমাজের গৃহিণীদের কাছে মানিয়ে নেওয়ার জন্য চারটি খানি ব্যাপার নয়। সেজন্য প্রচলন মেনে কেউ কেউ নামমাত্র তালের রস বা তালের বড়া বানিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়।
advertisement
আবার কেউ কেউ বাজার থেকে তালের রসের তৈরি রেডিমেট সামগ্রী পূজোতে ব্যবহার করে। বছরের পর বছর তালের চাহিদা কম হতে থাকায় বাজারেও তালের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। যেকটা তাল ব্যবসায়ীরা আনছেন তাও আবার বিকোচ্ছে বেশ চড়া দামে। এক একটা তাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। শিলিগুড়ি বিধান মার্কেটের এক ফল ব্যবসায়ী পিন্টু সাহা বলেন, \"তালের চাহিদা কম আর বিক্রিও হচ্ছে কম। দামটাও বেড়েছে।\"
advertisement
আরেক ফল বিক্রেতা গৌরাঙ্গ পাল বলেন, \"এখনকার দিনে কেউ তাল কিনে যাবতীয় খাবার বানানোর ঝক্কি নিতে চায় না। সেজন্য বিক্রি কমেছে। আর এখন সবই রেডিমেট পাওয়া যায়। তাই দিয়ে পূজো সারছে। দিদা, ঠাকুমার আমলে তালের তৈরি খাবার বা ভোগ বানানোর প্রচলন আর দেখা যায় না।\"
advertisement
শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার গৃহবধূ শিমু সাহা বলেন, \"তাল কিনে বাপের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। মা তালের রস দিয়ে ভোগ আর খাবার বানাবে। এখন সব রেডিমেট পাওয়া যায় দেখে চাহিদা কমেছে।\" আশ্রমপাড়ার এক প্রৌঢ় বিষ্ণু সাহা বলেন, \"এখন আর দিদা ঠাকুমার যুগ নেই। আগে একান্নবর্তী পরিবার ছিল। সবাই মিলে বানাতো। এখন আর কেউ বানাতে চায় না। তাই একটা নিয়ে নামমাত্র কাজ চালানো হয়। আর দামও অনেকটা বেড়েছে।\"
advertisement
Anirban Roy
Location :
First Published :
August 20, 2022 9:19 PM IST