হোম /খবর /শিলিগুড়ি /
বাবা ভাঙারির দোকানের কর্মী! উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়ের নজরকাড়া সাফল্যেও মায়ের চোখে জল

HS Success Story: বাবা ভাঙারির দোকানের কর্মী! উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়ের নজরকাড়া সাফল্যেও মায়ের চোখে জল

X
উচ্চ [object Object]

HS Success Story:: উচ্চমাধ্যমিকে নজর করা সাফল্য কাকলির।ফুলবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে শান্তিপাড়ার বাসিন্দা কালাচাঁদ এবং মঞ্জু সাহার বড় মেয়ে কাকলি।কাকলির স্বপ্ন বি ডি ও অথবা এস ডি ও হওয়ার। কিন্তু আর্থিক সংকট তার স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন...
  • Share this:

শিলিগুড়ি : উচ্চমাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য কাকলির। বাবা কাজ করেন ভাঙারির দোকানে। এই কাজ করেই অভাবেই দিন চলে তাদের। এমন দিন আনি দিন খাই পরিবারের মেয়ে কাকলি সাহা যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্কুলে প্রথম স্থান অধিকার করবে স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেউ।

স্কুলে প্রথম হয়ে পরিবারের নাম উজ্জ্বল করল কাকলি সাহা। ৫০০ র মধ্যে কাকলির মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৩। তিনি শিলিগুড়ির কাছে ফুলবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে শান্তিপাড়ার বাসিন্দা কালাচাঁদ এবং মঞ্জু সাহার বড় মেয়ে। কাকলির স্বপ্ন বিডিও অথবা এসডিও হওয়ার। কিন্তু আর্থিক সংকট তাঁর স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চায় কাকলি ও তার পরিবার ৷

আরও পড়ুন: এ কী করলেন ‘দুই’ শাশুড়ি…? জামাই ষষ্ঠী দেখে চক্ষু চড়কগাছ সবার! এমনও সম্ভব? সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

আর্থিক অনটনের মধ্যে স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে কাকলী ও তার পরিবার। কাকলীর বাবা কালাচাঁদ সাহা ভাঙারি দোকানের সামান্য বেতনের কর্মী এবং মা গৃহবধূ। বাড়িতে রয়েছে দুই মেয়ে। অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে আসছেন। এদিন কাকলির ভাল ফলাফলের খবরে মায়ের চোখে জল। ফোন না থাকায় সুখবরটুকু সময় মতো জানতেও পারলেন না বাবা।

এদিন কাকলি বলেন, “আমার এই সাফল্য অনেকেই সাহায্য করেছে। এমনও সময় গিয়েছে অর্থের অভাবে টিউশন ফি দিতে পারিনি। স্বপ্ন WBCS পরীক্ষায় বসে বড় অফিসার হওয়া। তবে আপাতত আমি টিউশন পরিয়ে বাবার সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাই। পরবর্তীতে পড়াশোনার জন্য কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়িতে দেয়। তাহলে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে।”

আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠীর নতুন ‘জামাই’…! কলকাতায় বিয়ে করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী! কার সঙ্গে বাঁধলেন গাঁটছড়া? রইল কনের পরিচয়…

অন্যদিকে কাকলির মা বলেন, “আমার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে বিদ্যালয়ের প্রথম হইছে। মেয়ের স্বপ্ন পূরণের পথে আর্থিক প্রতিকূলতা রয়েছে। তবে কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়িতে দেয় তাহলে খুব উপকৃত হব। অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা শেখানো হচ্ছে। মাঝে মধ্যে লোন নিয়ে মেটাতে হচ্ছে। সরকারিভাবে যদি কোনও সাহায্য পাওয়া যায় তাহলে খুব ভাল হয়।”

অনির্বাণ রায়

Published by:Sanjukta Sarkar
First published:

Tags: Higher Secondary 2023, Success story