Siliguri News: শিলিগুড়ির ইসকন মন্দিরে সাড়ম্বরে পালিত হল গোবর্ধন উৎসব
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনবাসীকে রক্ষা করতে গোবর্ধন পর্বত আঙুলে তুলে নিয়েছিলেন। পুরাণ অনুযায়ী, ইন্দ্রের কোপ থেকে রেহাই পেতে বৃন্দাবনবাসী আশ্রয় নেন এই পর্বতের নীচে। সেজন্য আজও ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয় গোবর্ধন উৎসব।
#শিলিগুড়ি : শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনবাসীকে রক্ষা করতে গোবর্ধন পর্বত আঙুলে তুলে নিয়েছিলেন। পুরাণ অনুযায়ী, ইন্দ্রের কোপ থেকে রেহাই পেতে বৃন্দাবনবাসী আশ্রয় নেন এই পর্বতের নীচে। সেজন্য আজও ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয় গোবর্ধন উৎসব। বুধবার শিলিগুড়ি ইসকনে গোবর্ধন উৎসব উদযাপিত হয়। এই বিশেষ দিনে থাকে নানান আয়োজন। কৃষ্ণকে রকমারি ব্যঞ্জন দেওয়া হয়। মথুরা-বৃন্দাবন সহ দেশের বিভিন্ন অংশে দীপাবলীর উৎসবের অঙ্গ হিসেবে পালিত হয় গোবর্ধন পূজা। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী দীপাবলীর পরের দিন গিরি গোবর্ধন কে আঙুলের ডগায় তুলেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এই ঘটনা ভক্তের বিপদে ভগবান কিভাবে এগিয়ে আসেন তার উদাহরণ বলে মনে করা হয়।
কাহিনী অনুযায়ী ভালো বৃষ্টি হয়, যাতে ভালো ফলন হয় তার জন্য দেবরাজ ইন্দ্রের পুজো করতেন বৃন্দাবন বাসী। বৃন্দাবন বাসীকে এত খরচ করা পছন্দ করেননি শ্রীকৃষ্ণ। তিনি সেই খাবার ইন্দ্রকে না দিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের খাওয়াতে বলেন। বৃন্দাবনবাসী ইন্দ্রের পুজো বন্ধ করে দিলে তিনি রেগে গিয়ে বৃন্দাবনে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু করেন। বৃষ্টিতে বৃন্দাবন ভেসে যেতে বসলে শ্রীকৃষ্ণ এই বিপদ থেকে তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। ১০৮ রকমের পদ দিয়ে সাজানো হবে গোবর্ধন পর্বত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের টাকা বাঁচিয়ে ক্যান্সার আক্রান্তদের পাশে রাজগঞ্জের ইয়ংস্টার ক্লাব
যেখানে থাকবে পোলাও, মিষ্টি, পকোড়া, পায়েস, পনিরের তরকারি, ছানার তরকারি সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার। এই সমস্ত খাবার গোবর্ধন পর্বতের মতো করে সাজিয়ে ঠাকুরের সামনে ভোগ দেওয়া হয়। করোনার দুটি বছর তেমন আয়োজন না থাকলেও এবছর রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থপনা। দুই আড়াই হাজার ভক্তের জন্য প্রসাদ তৈরি করা হবে। । যা দুপুরে পুজো শেষে ভক্তদের দেওয়া হয়। শুধু মন্দিরে তৈরি প্রসাদই নয়, এই উৎসবে অনেক কৃষ্ণভক্ত বাড়ি থেকে ভগবানের জন্য নানান খাবার বানিয়ে আনেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ দীপাবলিতে রংবেরঙের আলপনা নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন ভিন রাজ্যের যুবকেরা
বাড়ির সুখসমৃদ্ধির জন্য এই পুজোর আয়োজন করা হয়। শিলিগুড়ি সহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা এসে এদিন মন্দিরে উপস্থিত হন। ইসকনের জনসংযোগ অধিকর্তা নামকৃষ্ণ দাস বলেন, 'কৃষ্ণভক্তদের কাছে দিনটির গুরুত্ব অনেক। এবছর ১০৮ রকম ব্যঞ্জন থাকবে। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসবে। দু'বছর পর ফের ভালো করে প্রস্তুতি চলছে।' প্রতি বছর গোবর্ধন উৎসবে মন্দিরে আসেন সুমন্ত দাস, অরুণিমা দাস, রাখি দাস। সারাদিন মন্দিরে থেকে পুজো দিয়ে প্রসাদ খেয়ে বাড়িতে ফেরে দাস পরিবার। রাখি দাস বলেন, “এই দিনটি শ্রীকৃষ্ণের লীলায় মুগ্ধ হয়েছিল সবাই। প্রতি বছর ছেলে-বৌমাকে নিয়ে আসি। অন্নকূটে প্রসাদ দিই, সেই প্রসাদ গ্রহণও করি।' বলা যেতে পারে, উৎসব উদযাপনের জন্য মুখিয়ে শহরবাসী।
advertisement
Anirban Roy
Location :
First Published :
October 26, 2022 7:55 PM IST