সোমবার দুপুর থেকে অভুক্ত রইলেন পুরীর জগন্নাথ দেব, পেলেন না পুজোও!
Last Updated:
#পুরী: গোটা বিশ্বজুড়ে তাঁর অগণিত ভক্ত ৷ দিবারাত্রি তাঁর নাম জপ করতেই ব্যস্ত থাকেন তাঁরা ৷ তবে সেই জগন্নাথ দেবই সোমবার সন্ধে থেকে মঙ্গলবার সন্ধে পর্যন্ত না খেয়ে রইলেন ৷ মঙ্গলবার ভোগ হল না জগন্নাথ দেবের মন্দিরে। পুজোও পেলেন না তিনি ৷ হল না কোনও উপচারও ৷ পড়ে পড়ে নষ্ট হল কয়েক টন ভোগ ৷ মঙ্গলবার দিনভর ভক্তরাও দর্শন করতে করতে পারলেন না তাঁদের প্রভুকে।
বেনজির বিক্ষোভের সাক্ষী থাকল পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির। দুই গোষ্ঠীর বিক্ষোভের জেরেই এই ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। সেবাইতদের বিক্ষোভে চরম অচলাবস্থা। জট কাটাতে আসরে ওড়িশা প্রশাসন। সেবাইতদের অভিযোগ, গোটা ঘটনার নেপথ্যে ভুবনেশ্বর হাই কোর্টের একটি রায়।
advertisement
advertisement
একমাত্র যে সেবাইতের পালা একমাত্র তাঁরাই সেইদিন গর্ভগৃহে ঢুকে পুজো দিতে পারবেন। এমনটাই রায় দেয় হাই কোর্ট। উপচার, ভোগ দেওয়া সেই সেবাইতদের উপরই ন্যস্ত। এই প্রসঙ্গে জগন্নাথ দ্বৈতাপতি (ব্রহ্মস্থান্তরের প্রধান পুরোহিত) জানিয়েছেন, সেবাইত আত্মবন্ধু কর যিনি আবার সিঙ্গারি পাণ্ডা তাঁর পালা ছিল সোমবার। সোমবারে পুজোর পর তাঁর স্ত্রীবিয়োগ হওয়ায় অশৌচের জন্য তিনি আর পুজোয় নিযুক্ত হতে পারবেন না। হিন্দুশাস্ত্রে তেমনই উল্লেখ রয়েছে। এইক্ষেত্রে তাঁর বিকল্প কেউ না থাকায় বন্ধ থাকে পুজোর প্রক্রিয়া। অন্য সেবাইতরা পুজো দিতে অস্বীকার করেন যেহেতু পালা ছিল ওই সেবাইতের। আর তাতেই অচলাবস্থার সূত্রপাত। সোমবার সকালের পর থেকে গর্ভগৃহে না হয়েছে বিগ্রহের উপচার, না হয়েছে ভোগ দেওয়া। পুজো বন্ধ থাকায় চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় মন্দির চত্বরে।
advertisement
এই ঘটনায় ওড়িশা বিধানসভায় মঙ্গলবার একপ্রস্থ অশান্তি হয় শাসক-বিরোধীপক্ষের মধ্যে স্পিকার অধিবেশন মুলতবি করে দেন হই-হট্টগোলের জেরে জগন্নাথ দেব, বলভদ্র এবং সুভদ্রার জন্য তৈরি ছাপান্নভোগ সোমবার দুপুর থেকে পড়ে পড়ে নষ্ট হয়। শোনা যাচ্ছে যে অবিক্রিত মহাপ্রসাদের জন্য জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন মন্দিরের একটি বিশেষ গোষ্ঠী। এর জেরেই প্রতিবাদ জারি রাখেন তাঁরা। তাঁদের দাবি না মানলে মহাপ্রসাদ প্রস্তুত করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা।
Location :
First Published :
April 17, 2018 9:08 PM IST