পূর্ব মেদিনীপুর: যৌবনকালে সবকিছু ভুলে লাল ঝান্ডার প্রতি অনুগত ছিলেন পাঁশকুড়ার রেনুবালা সাঁতরা। অনুগত বললে বোধহয় কম বলা হবে। নিজের জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই সিপিআই(এম) পার্টির জন্য ব্যয় করেছেন তিনি। বহু মিটিং মিছিলে লাল ঝান্ডা নিয়ে দাপটের সঙ্গে হেঁটেছেন। শরিকদল সিপিআই-এর প্রবাদ প্রতিম নেত্রী গীতা মুখার্জির সংস্পর্শে আসারও সুযোগ পান রেনুবালা। সেই সময় হয়ত এই স্পর্শগুলোকেই জীবনের পরম সার্থকতা মনে করেছিলেন। পাঁশকুড়ায় সিপিআই(এম)-র দলীয় কার্যালয়ে রান্না করার কাজ করতেন। কিন্তু রেনুবালা সাঁতরা আজ ৮৭ বছরের বৃদ্ধা। গায়ের সেই জোর আর নেই, মিটিং-মিছিলে হাঁটতে পারেন না। তাই হয়ত আজ আর তাঁর কোনও খবর রাখেন না লাল ঝান্ডার নেতারা!
একসময়ের এই বামপন্থী কর্মীর আজ বড় দুঃসহ অবস্থায় দিন কাটছে। স্বামী ও সন্তান বহু আগেই মারা গিয়েছেন। বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে অন্য কোনও কাজ করতে পারেন না। বার্ধক্য ভাতার মাসে ১০০০ টাকাই তাঁর একমাত্র সম্বল। কিন্তু তাতে সারা মাসের খাওয়া ও ওষুধের খরচ চলে না যে!
আরও পড়ুন: একযুগ পর ঘরে ফিরল ছেলে! তিন সমাজসেবীকে বরণ করে নিল গোটা গ্রাম
এই অবস্থায় প্রতিবেশীদের সাহায্যে দিন কাটছে। তাঁরা খেতে দিলে খাওয়া জোটে এমন অবস্থা। একসময়ের সঙ্গী সাথীরা আজ পাশে না থাকায় দুঃখে চোখের জল পড়ে রেনুবালা সাঁতরার।
এই পরিস্থিতিতে এই বৃদ্ধা বামপন্থী কর্মীর সহায়তায় এগিয়ে এলেন পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতাকর্মীরা। পাঁশকুড়া পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভের প্রধান নন্দকুমার মিশ্র সহ পুরসভার অন্যান্য ব্যক্তিরা ওই অসহায় বৃদ্ধার বাড়িতে যান। তাঁর হাতে পাঁশকুড়া পুরসভার পক্ষ থেকে নানান উপহার সামগ্রী ও খাবার তুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাঁর যে কোনও প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দেন পুরসভার কর্তারা।
সৈকত শী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cpim, East Medinipur News, Panskura, TMC