Purba Medinipur: শিক্ষারত্ন সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন ড. মৌসম মজুমদার
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
তমলুকের বহিচাড় বিপিন শিক্ষা নিকেতনের ভূগোল বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ড. মৌসম মজুমদার এবার রাজ্য সরকারের শিক্ষারত্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। শিক্ষক দিবসে তিনি এই সম্মানে সম্মানিত হতে চলেছেন।
#পূর্ব মেদিনীপুর : তমলুকের বহিচাড় বিপিন শিক্ষা নিকেতনের ভূগোল বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ড. মৌসম মজুমদার এবার রাজ্য সরকারের শিক্ষারত্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। শিক্ষক দিবসে তিনি এই সম্মানে সম্মানিত হতে চলেছেন। ড. মৌসুম মজুমদার শিক্ষকতার পাশাপাশি ক্যুইজ, সমাজসেবা, সংগ্রাহক ও বই লেখক। এর আগেও বহু সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। এবার সেই মুকুট জুড়ল শিক্ষারত্ন সম্মান। বিএসসি এবং এমএসসিতে গোল্ড মেডালিষ্ট। ২০০০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পশ্চিমাঞ্চল রিজিয়নে ভূগোলে প্রথম স্থানাধিকারী। প্রায় ৬০ টির কাছাকাছি তাঁর লেখা বই এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে। ছাত্রদের পড়ানোর পাশাপাশি তিনি পরিবেশ ও সমাজ শিক্ষার পাঠ দেন। সারা জেলায় তাঁর গুণগ্রাহী ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রচুর। অজাত শত্রু এই শিক্ষক একাধিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে ধারাবাহিকভাবে সমাজসেবা করে চলেছেন। শিক্ষকতা, সমাজসেবার পাশাপাশি একজন সফল সংগ্রাহক। ১৩১টি দেশের মুদ্রা, একশোটি দেশের ডাকটিকিট। অসংখ্য পুরাতাত্ত্বিক জিনিসপত্রের পাশাপাশি সামুদ্রিক জীবাশ্ম সংগ্রহ করা নেশা। বাড়িতে গড়ে তুলেছেন ছোটখাটো একটি মিউজিয়াম।
এর পাশাপাশি পূর্ব জেলা তথা রাজ্যজুড়ে ক্যুইজকে সর্বগ্রাহী করে তোলার ক্ষেত্রে উল্লেখ্য ভূমিকা পালন করেছেন ড. মৌসম মজুমদার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্যুইজ জগতের এক পরিচিত মুখ তিনি। তমলুক থানার আস্তাড়া গ্রামে মৌসমবাবুর বাড়ি। বিশ্বভারতী থেকে পিএইচডি করেছেন। এছাড়াও ডিজিটাল ম্যাপিং, কম্পিউটার এবং রবীন্দ্রসংগীতের উপর ডিপ্লোমা করছেন তিনি। ২০০০ সালের নভেম্বর মাসে ভূগোল বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে তমলুকের বহিচাড় স্কুলে যোগ দেন। বর্তমানেও ওই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।
advertisement
ছাত্রদরদী এই শিক্ষক নিজের স্কুলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাবা এবং দাদার নামে দু'টি শ্রেণীকক্ষ বানিয়েছেন। নিজের অর্থে স্কুলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসিয়েছেন। স্কুলে হঠাৎ কোনও ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য 'সিক বেড' দিয়েছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার নিয়ে সচেতন করতে তমলুক থেকে দিঘা এবং মেদিনীপুর থেকে নবান্ন পর্যন্ত তিনি সাইকেল র্যালি সফলভাবে আয়োজন করেছেন। উপকুল বাঁচানোর বার্তা নিয়ে ১০৭ কিলোমিটার কোস্টাল ট্রেকিং করেছেন। মৌসমবাবু নিজে ২৭ বার রক্তদান করেছেন। ৪০টির বেশি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১০ হাজারের বেশি চারাগাছ রোপণ ও বিলি করেছেন। অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে বই ও শিক্ষা সহায়ক সরঞ্জাম তুলে দিয়েছেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ তমলুকের বিভিন্ন বাজারে অদ্ভুতুড়ে আচরণ পথবাতির!
অবিভক্ত মেদিনীপুরের সমাজসেবী সংস্থা 'মেদিনীপুর ক্যুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি'-র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তিনি। ড. মৌসুম মজুমদার এর আগে ভারতজ্যোতি পুরস্কার, বেস্ট সিটিজেন অব ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড, রক্তকরবী সম্মান, কচিপাতা সম্মান, বেস্ট টিচার্স অ্যাওয়ার্ড, ন্যাশনাল এডুকেশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, সকলের কথা সম্মান অর্জন করেছেন। সেই মুকেটে আরেকটি পালক যোগ হল। শিক্ষারত্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে রাজ্য সরকার। ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে জেলাশাসক এই সম্মান তুলে দেবেন। আসলে পুরস্কার বা সম্মান অনেক সময় সম্মানিত হয় যোগ্য ব্যক্তির দ্বারা। সেক্ষেত্রে এবার জেলা থেকে শিক্ষারত্ন সম্মান যোগ্য শিক্ষক ড. মৌসম মজুমদার এর সম্মানিত হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নদীর দুই প্রান্তের মানুষের দীর্ঘ সমস্যা কবে মিটবে! কি ভাবনা প্রশাসনের?
ড. মৌসম মজুমদার বলেন, 'রাজ্য সরকার শিক্ষারত্ন সম্মানের জন্য মনোনীত করায় ভালো লাগছে। একজন শিক্ষকের সামগ্রিক রিপোর্ট মূল্যায়ণ করে শিক্ষারত্ন পুরস্কারের জন্য বাছাই করা হয়। শিক্ষকের পাশাপাশি আমি একাধিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সমাজসেবা এবং সচেতনতামূলক কাজকর্মে জড়িয়ে থাকি। সেসব খতিয়ে দেখে আমাকে মনোনীত করেছে।' বহিচাড় বিপিন শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক শশাঙ্কশেখর ঘোড়ই বলেন, 'আমাদের স্কুলের সহশিক্ষক মৌসমবাবু শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাবেন। এটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয়।'
advertisement
Saikat Shee
Location :
First Published :
September 05, 2022 4:37 PM IST