মহিষাদল: সর্বাধিনায়ক সতীশচন্দ্র সামন্ত (Satish Chandra Samanta) একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৯৫২ - ৭৭ সাল পর্যন্ত লোকসভার সদস্য ছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি তাঁর গুরু স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ব্রহ্মচার্যের জীবনকে অবলম্বন করেছিলেন এবং জনগণের সেবা করবার ব্রত গ্রহণ করে জীবন কাটিয়েছিলেন। জন্ম ১৫ ই ডিসেম্বর ১৯০০ সাল, পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের গোপালপুরে। প্রয়াণ ৪ ঠা জুন ১৯৮৩ সাল, মহিষাদল, পূর্ব মেদিনীপুরে। বীর বিপ্লবী মেদিনীপুর তথা ভারত বর্ষের বীর বিপ্লবী সর্বাধিনায়ক সতীশচন্দ্র সামন্তের ১২১ তম জন্মজয়ন্তী।
জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে রাজ্যের দুই মন্ত্রী উপস্থিত মহিষাদলে। এইদিন ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার, সকাল ন'টায় মহিষাদল প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতি ভবন প্রাঙ্গণে, তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রথম সর্বাধিনায়ক, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও হলদিয়া বন্দরের জনক সতীশচন্দ্র সামন্ত -এর পূর্ণবায়ব মূর্তিতে মাল্যদান করেন মহিষাদলের বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী (Satish Chandra Samanta)। স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশচন্দ্র সামন্তর জন্মদিনে তাঁর ভিটেমাটি গোপালপুরে এদিন রাজ্যের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী অখিল গিরি উপস্থিত হন। সতীশচন্দ্র সামন্ত-র মূর্তিতে মাল্যদান করেন এবং সতীশচন্দ্র সামন্ত-এর সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের কাছে তাঁর কার্যকলাপের কিছু বার্তা তুলে ধরেন তিনি। মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি ঘোষণা করেন, তাঁর ব্যক্তিগত বেতনের টাকা থেকে দু লক্ষ টাকা সতীশবাবুর টালির ছাউনি মাটির বাড়িকে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য, অর্থাৎ সতীশবাবুর স্মৃতিকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য মহিষাদলের বিধায়কের হাতে দিলেন।
মন্ত্রী ড. সৌমেন কুমার মহাপাত্র, প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতি ভবন প্রাঙ্গণে বীর বিপ্লবী স্বাধীনতা সংগ্রামী, সর্বাধিনায়ক সতীশচন্দ্র সামন্তের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন (Satish Chandra Samanta)। সর্বাধিনায়ক সতীশচন্দ্র সামন্ত সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত সতীশ সামন্ত ভক্তদের সামনে। সর্বাধিনায়ক -এর ভিটেমাটিতে এলাকার অসহায় দুঃস্থ মানুষদের হাতে শীতের কম্বল তুলে দেন মন্ত্রী অখিল গিরি, বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী, মহিষাদলের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক যোগেশ চন্দ্র মন্ডল ও মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। এইদিন এলাকার অসহায় প্রতিবন্ধীদের (দিব্যাঙ্গ) ট্রাইসাইকেল, হুইল চেয়ার এবং শ্রবণ যন্ত্র, দুজন মন্ত্রীসহ মঞ্চের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ তাদের হাতে তুলে দেন।
সর্বাধিনায়ক সতীশ চন্দ্র সামন্তের নামে হলদিয়া বন্দরের (Haldia Dock) নামকরণ করার দাবি রাজ্যের দুই মন্ত্রীর (Satish Chandra Samanta)। এইদিন মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র ও অখিল গিরি বলেন, "কলকাতা বন্দরের নাম পরিবর্তন হলে হলদিয়া বন্দরের নাম পরিবর্তন করে সতীশ চন্দ্র সামন্তের নামে করা যাবে না কেন? আমরা দাবি জানাচ্ছি হলদিয়া বন্দরের নাম সতীশ চন্দ্র সামন্তের নামে করা হোক"।
Saikat Sheeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birth anniversary, East Medinipur, Freedom Fighter, Purba Medinipur News