Purba Medinipur: বন্যার দু'মাস পেরিয়ে গেলেও বানভাসি এলাকার মানুষের দুর্ভোগ

Last Updated:

বন্যা কবলিত এলাকার জল কমেছে। কিন্তু দু মাস পরেও তাদের দুর্দশার শেষ নেই। ২৬ নভেম্বর শুক্রবার এলাকা ঘুরে দেখেন পটাশপুর এর বিধায়ক উত্তম বারিক, জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারি সভাধিপতি মাহমুদ হোসেন ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মৃণাল কান্তি দাস। 

পটাশপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি
পটাশপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি
পূর্ব মেদিনীপুর: বন্যার (Flood) দু'মাস পেরিয়ে গেলেও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার পটাশপুর- এক ও দুই, ভগবানপুর-এক ও দুই ব্লকের বন্যা (Flood) পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও পটাশপুর- এক ও ভগবানপুর এক ব্লকের বেশ কিছু এলাকার রাস্তাঘাট ও মাঠে এখনো জমা জলের রেশ থেকে গেছে। বিশেষ করে কাজলাগড়, ভগবানপুর, বিভীষনপুর, বিস্তিপুর- এক ও দুই, অমর্ষী- এক ও দুই প্রভৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু জায়গায় জমা জলের সমস্যা। পড়ুয়াদের বইপত্র (Books) জলে ভেসে এখনও আছে।
জমা জল কমলেও মাটির বাড়ী শুকনো হওয়ার সময় ধ্বস নেওয়া প্রবনতা বাড়ছে। আমন চাষ পুরোপুরি নষ্ট হলেও মাঠে জল জমে থাকায় দূষণের সমস্যার পাশাপাশি রবি শস্য চাষের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আধার কার্ড, রেশন কার্ড সহ দলিলপত্র, রেকর্ড ইত্যাদি প্রয়োজনীয় নথী বিনষ্ট হওয়ায় রেশনের পাশাপাশি সরকারী অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়ার সমস্যা হচ্ছে। বই পত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লেখাপড়ার ক্ষেত্রে সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে।
advertisement
বিধায়ক উত্তম বারিক, প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মৃনালকান্তি দাস প্রমুখ বানভাসি এলাকা পরিদর্শন করে এইসব সমস্যার কথা জানিয়েছেন। প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন রাজ্য সরকারের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির দৃষ্টি আকর্ষন করে বানভাসি এলাকায় উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের লক্ষে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহনের আবেদন জানিয়েছেন। মামুদ হোসেন জানান, ' বন্যার পর দু মাস কেটে গেলেও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বন্যায় ভেসে গেছে দরকারি নথিপত্র। ফলে সাধারণ রেশন সামগ্রী তুলতেও অসুবিধার সম্মুখীন ভগবানপুর পটাশপুর এলাকার মানুষজনেরা। আবার জমা জলের দূষণ ছড়ানোর ফলে একদিকে যেমন রোগের প্রকোপ লেগেই আছে। অন্যদিকে রবি শস্য চাষের অসুবিধার সম্মুখীন চাষিরা। এই সমস্যার একমাত্র প্রশাসনিক উদ্যোগেই সমাধান হতে পারে।'
advertisement
advertisement
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে ভগবানপুর ও পটাশপুর বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এলাকার মানুষের সবকিছু ভেসে যায় জলে। সেই বন্যা কবলিত এলাকার জল কমেছে। কিন্তু দু মাস পরেও তাদের দুর্দশার শেষ নেই। ২৬ নভেম্বর শুক্রবার এলাকা ঘুরে দেখেন পটাশপুর এর বিধায়ক উত্তম বারিক, জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারি সভাধিপতি মামুদ হোসেন ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মৃণাল কান্তি দাস। মৃণাল কান্তি দাস জানান, 'বন্যা পীড়িত এলাকার মানুষজনের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী প্রশাসন। এলাকার রেশন ডিলারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগের নথি অনুসারে এলাকার মানুষজনকে রেশন সামগ্রী দেওয়ার জন্য। এছাড়াও প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি বুথে বুথে কত সংখ্যক মানুষের ভোটার আধার ও রেশন কার্ড সহ অন্যান্য নথিপত্র হারিয়ে গেছে তার তালিকা তৈরি করতে।'
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
Purba Medinipur: বন্যার দু'মাস পেরিয়ে গেলেও বানভাসি এলাকার মানুষের দুর্ভোগ
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement