পাঁশকুড়া: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের একটি পরিবারের ঘর বলতে ত্রিপল এবং পুরনো শাড়ি দিয়ে ঘেরা মাথায় টালির ছাউনি। তারই মধ্যে বসবাস পরিবারের ১১ জন সদস্যের। এখনও তাঁদের মেলেনি সরকারি সাহায্য। পরিবারের ছোট থেকে বয়স্ক সব বয়সির লোকজন রয়েছে। চৈত্র মাসের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টি। আবার সামনেই আসছে বর্ষাকাল। আবাস যোজনা তালিকায় নাম থাকলেও পাকা বাড়ি ও পাকা ছাদের জন্য মেলেনি সরকারি সাহায্য, ফলে দুশ্চিন্তায় গোটা পরিবার।
আরও পড়ুনঃ দিঘায় জগন্নাথ মন্দির! পুরীর থেকে আলাদা কোথায় ? জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় আবাস যোজনা দুর্নীতি প্রসঙ্গে। আবাস যোজনার তদন্তে উঠে আসে তিনতলা অট্টালিকায় থাকা ব্যক্তিও পেয়েছে আবাস যোজনা প্রকল্পে সরকারি বাড়ি করার জন্য অনুদান। কিন্তু সেখানে বঞ্চিত পাঁশকুড়া ব্লকের বাজু গ্রামের দাস পরিবার। পরিবারের লোকজন জানায়, ‘আবাস যোজনা তালিকায় নাম রয়েছে। বিভিন্ন সময় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ও ব্লক অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মেলেনি পাকা বাড়ির জন্য সরকারি আবাস যোজনার অনুদান।’
আরও পড়ুনঃ বেলা গড়াচ্ছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কালবৈশাখীর দাপট, এই জেলায় ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা
ওই পরিবারের সদস্যরা দুশ্চিন্তায়। ত্রিপল এবং পুরনো কাপড় ঘেরা টালির ছাউনির বাড়িতে এক সঙ্গে ১১ জন সদস্যের বসবাস। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা ঝড়ে ঘর ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সামনেই ঝড় বৃষ্টি-সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসছে, কিন্তু ঝড় বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার মত ক্ষমতা নেই দুস্থ পরিবারের। ফলে তাঁরা দুশ্চিন্তায়। ওই পরিবারের এক মহিলা সদস্য জানায় 'প্রতিবার ভোটের সময় এলাকার নেতারা আশ্বাস দেন খুব দ্রুতই আবাস যোজনার পাকা ঘর মিলবে। কিন্তু ভোট ফুরালেই অবস্থার উন্নতি হয় না একই থেকে যায়, ঘর পাওয়া আর হয় না।'
Saikat Shee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।