#দিঘা: মাছের প্রজনন মরশুমে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত মাছ ধরার ওপর সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে ৬১ দিন বন্ধ ছিল সমুদ্রে মৎস্য শিকার। শঙ্করপুর মৎস্যবন্দর ও দিঘা মোহনায় গিয়ে দেখা গেছে, সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের নানা প্রস্তুতি সারা। সমুদ্রে যাওয়ায় আগে সেরে ফেলা হয়েছে লঞ্চ - ট্রলারের পুজোপাঠ। মাছধরা জাল, জ্বালানী তেল, বরফ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী বোঝাই করা হয় ট্রলারে।মৎস্য দপ্তর সূত্রে খবর, কাঁথি সামুদ্র উপকূলে সরকার অনুমোদিত লঞ্চ-ট্রলার ও ভুটভুটির সংখ্যা প্রায় দু হাজার। তার মধ্যে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবে হাজারখানেক লঞ্চ - ট্রলার। বাকিদের বিচরণস্থল অগভীর সমুদ্র এলাকা।
কাঁথির সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগ বলেন, ' সরকারি নিয়ম-নীতি মেনেই বুধবার থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবে অনুমোদিত লঞ্চ-ট্রলার ও ভুটভুটিগুলি। এক্ষেত্রে লাইসেন্সের কাগজপত্র সহ মৎস্যজীবীদের জীবন বীমার নথি সঙ্গে রাখতে হবে। সমুদ্রে যাওয়া প্রত্যেক মৎস্যজীবীর লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।' ৬১ দিনের ব্যান পিরিয়ড কাটিয়ে ইলিশ সহ সামুদ্রিক মাছের খোঁজে বুধবার থেকে একে একে সমুদ্র যাত্রা শুরু করেছে মৎস্যজীবীদের লঞ্চ-ট্রলার।
মৎস্যজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২৩ সেন্টিমিটার এর নিচের ইলিশ মাছ ধরা যাবে না। ৯০ মিলিমিটারের কম পরিধি ফাঁসের জাল ব্যবহার করা যাবে না। গত মরশুমে খরা ছিল সামুদ্রিক মাছের। লোকসানের জেরে সঙ্কটে অনেক লঞ্চ-ট্রলারের মালিক। নতুন মরশুমে ধারদেনা করে ফের ফের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ সহ সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়বে এমন আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা।
Saikat Shee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Digha Ilish, Hilsa