পূর্ব বর্ধমান: গরম পড়তেই রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড সহ পথেঘাটে নানান জায়গায় শরবত বিক্রেতাদের চোখে পড়তে শুরু করেছে। কেউ আখের শরবত বিক্রি করছেন, আবার কেউ কেউ পাতিলেবুর জল বিক্রি করেন। তবে কয়েক বছর হল রাস্তার ধারের দোকানেও মোজিতো, আমপানা সহ নানান ধরনের লোভনীয় ঠান্ডা শরবত বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। এই তালিকায় বর্ধমান শহরও ব্যতিক্রম নয়। তবে এবারের গরমে সেখানে এক অন্যরকম শরবতের দোকান নজর কেড়েছে সবার। সেই দোকানের নাম 'জবলেস জুসওয়ালা'!
'জবলেস জুসওয়ালা' শহরের এমনকি দরকারে বাইরে থেকে আসা মানুষজনেরও ভালো মতই নজর টেনেছে। অনেকেই এমন অভিনব নাম দেখে স্রেফ কৌতুহলে এখানে শরবত খেতে ঢুকছেন। তবে শরবত পান করার পর সকলেরই ভালো লেগে যাচ্ছে। এই নতুন তৈরি শরবত দোকানে পাওয়া যায় মোজিতো, মশালা সোডা, মশালা কোল্ড্রিঙ্কস, ম্যাঙ্গো জুস ইত্যাদি। মোজিতোর দাম ৪০ টাকা, ম্যাঙ্গো জুস ও মশালা সোডা ৩০ টাকা। সপ্তাহের ৭ দিনই দোকান খোলা থাকছে। সকাল ৯ টা থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। বর্ধমান পুলিশ লাইনের কাছে ঘোড়দৌড়চট্টিতে গেলে এই শরবতের দোকানটি নজরে পড়বে।
আরও পড়ুন: বন দফতরের চোখে ধুলো দিতে বেআইনি কাঠ দিয়ে দরজা-জানলা বানিয়ে পাচারের চেষ্টা!
স্বাভাবিকভাবেই সকলের মনে কৌতূহল তৈরি হচ্ছে দোকানের নাম কেন 'জবলেস জুসওয়ালা'? তাঁদের শরবত দোকানের এমন নামের কারণ ব্যাখ্যা করলেন দুই মালিক অভিজিৎ গুহ ও অপু সরকার। ছোটবেলার দুই বন্ধু মিলেই এই শরবতের দোকানটি খুলেছেন। তারা জানান, চোদ্দ বছর ধরে দু'জনেই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় চুটিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু এক মাসে আগে হঠাৎই তাঁদের সংস্থা ছাঁটাই শুরু করে। তাতে তাঁদের দু'জনেরও চাকরি গিয়েছে। তারপরই তাঁরা আর নতুন চাকরি না খুঁজে এই শরবতের ব্যবসা শুরু করেন। যেহেতু চাকরি হারিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেছেন তাই দোকানের নাম 'জবলেস জুসওয়ালা'!
বর্তমানে এই শরবতের দোকানের আয় থেকেই দুই বন্ধুর সংসার চলছে। অভিজিৎ ও অপু দুই বন্ধুরই ইচ্ছে আগামী দিনে এই শরবতের দোকানকে আরও বড় করে তোলা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: New Business, Summer