Inspiration: আজন্ম নেই দু’ হাত, পায়ের আঙুলে চক ধরে লেখেন ব্ল্যাকবোর্ডে...উজান স্রোতে পাড়ি দিয়ে গত এক দশক ধরে প্রধানশিক্ষকের দায়িত্বে জগন্নাথ

Last Updated:

Inspiration: এ এক অন্য জগন্নাথের গল্প। চাকরি পাওয়ার আগে ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রশ্নকর্তাদের বোর্ডে পা দিয়েই লিখে তাঁর পারদর্শিতা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন৷ দুটো হাত না থাকায় তাঁর মা ছেলের নাম রেখেছিলেন জগন্নাথ।

+
জগন্নাথ

জগন্নাথ বাউড়ি 

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: আর একটা দিন পরই রথযাত্রা। রথযাত্রা উপলক্ষে জগন্নাথদেবের আরাধনায় মেতে উঠবেন অগণিত ভক্ত। তবে এবার জানুন এক অন্য জগন্নাথের গল্প। পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দা এই জগন্নাথেরও জন্ম থেকেই দুটো হাত নেই। তবে হাত ছাড়াই যেন তিনি অসাধ্যসাধন করে দেখিয়ে দিয়েছেন। হাত না থাকার কারণে যে মানুষটাকে নিয়ে একসময় অনেকে ব্যঙ্গ করত, সেই জগন্নাথ বাউড়ি আজ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। হাত নেই তো তাতে কী! পায়ের আঙুলের ফাঁকে চক নিয়ে পা দিয়েই লেখালেখি করেন ব্ল্যাকবোর্ডে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ১ ব্লকের বেলুটি গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথ বাউড়ি। বর্তমানে তিনি আউশগ্রামের জয়কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। জগন্নাথ বাবু বলেন, “আমিও বন্ধুদের সঙ্গে একবার পুরী গিয়েছিলাম। আমার বন্ধু তখন রথের রশিতে টান দিয়েছিল। চাইলে আমিও পায়ে করে রশি তুলে ঘাড়ের মধ্যে নিয়ে টানতে পারতাম। কিন্তু তিনি ভগবান। আমার সেটা করা ঠিক হবে না, তাই পিছিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু সেদিন আমার খুব কষ্ট হয়েছিল।”
advertisement
জন্ম থেকেই তাঁর দুটি হাত নেই। দুই পা তাঁর ভরসা৷ পা দিয়েই চামচে করে খাবার খান৷ আবার পা দিয়েই স্কুলের ব্ল্যাকবোর্ডে চক ডাস্টার দিয়ে পড়ুয়াদের পড়ান। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আউশগ্রামের জয়কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পা দিয়েই তিনি স্কুলে পড়াশোনা করান। এমনকি পা দিয়েই চায়ের কাপ ধরে চা পান করেন জগন্নাথ৷ মনের অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি৷ তারপর ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারিতে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। চাকরি পাওয়ার আগে ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রশ্নকর্তাদের বোর্ডে পা দিয়ে লিখে তাঁর পারদর্শিতা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন৷ দুটো হাত না থাকায় তাঁর মা ছেলের নাম রেখেছিলেন জগন্নাথ।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : ভাতের পাতে এই ডাল জাস্ট ১ হাতা! কোলেস্টেরল কমিয়ে সুস্থ হার্ট! ওজন কমিয়ে দফারফা ব্লাড সুগারের!
জয়কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক চন্দন মণ্ডল বলেন, “জগন্নাথবাবুকে প্রথম দেখলে অবাক লাগবে। কিন্তু আমাদের দেখে দেখে অভ্যাস হয়ে গেছে। উনি পারদর্শিতার সঙ্গে সব সামলান। আমাদেরও ভাল লাগে, জগন্নাথবাবুর ইচ্ছাশক্তিকে কুর্নিশ।” তিনি আবার ভাল গানও করেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। শুধু তাই নয় স্কুলছুট কমাতে এলাকায় অভিভাবকেদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও বোঝান তিনি৷ পাশাপাশি খেলাধুলোর জন্যও পড়ুয়াদের উৎসাহ জোগান জগন্নাথবাবু৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Inspiration: আজন্ম নেই দু’ হাত, পায়ের আঙুলে চক ধরে লেখেন ব্ল্যাকবোর্ডে...উজান স্রোতে পাড়ি দিয়ে গত এক দশক ধরে প্রধানশিক্ষকের দায়িত্বে জগন্নাথ
Next Article
advertisement
সকালে মা দরজা খুলতেই...বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারাল অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
  • সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ

  • দেগঙ্গার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘনাচ্ছে রহস‍্য।

  • পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মদ্যপানের আসরেই খুন করা হয়েছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement