পূর্ব বর্ধমান: টোটো ও অটোচালকদের মধ্যে ঝামেলা ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল গাংপুর স্টেশন চত্বর। দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা তর্কাতর্কি থেকে দ্রুত হাতাহাতিতে পরিণত হয়। দফায় টোটো ও অটো চালকরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি সামলাতে রীতিমত নাজেহাল হতে হয় পুলিশকে।
বছরখানেক ধরেই গাংপুর স্টেশনে যাত্রী পরিবহণের জন্য টোটো এবং অটো দুই'ই চলাচল করে। কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎই যাত্রী তোলা নিয়ে টোটো ও অটোচালকদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। প্রথমে কথা কাটাকাটি, তারপর দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এই ঝামেলার খবর শুনে ছুটে আসে শক্তিগড় থানার পুলিশ। টোটো ও অটোচালকদের মধ্যে মীমাংসা করিয়ে দিয়ে ফিরে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: গ্রামের এই স্কুল আর্টের ছোঁয়ায় অনন্য হয়ে উঠল
এরপর সামান্য কিছুক্ষণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। তারপর আবার দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা। টোটো চালকরা যাত্রী তুলতেই তাদের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন অটোচালকরা। এর কিছুক্ষণ পর অটোচালকরা যাত্রী তুললে পাল্টা তাঁদের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন টোটো চালকরা! এরপরই টোটো ও অটোচালকদের মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক মারামারি। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। আবার ছুটে আসে শক্তিগড় থানার পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ দ্বিতীয়বার ঝামেলা থামাতে এলে তাঁদেরকে হেনস্তা করে টোটো ও অটো চালকরা। এই ঘটনার জেরে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজনকে আটক করে শক্তিগর থানার পুলিশ।
মঙ্গলবারের এই ঝামেলা প্রসঙ্গে এক টোটোচালক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এখানে টোটো চালাচ্ছি। আজ হঠাৎই অটো চালকরা এসে যাত্রী তুলতে শুরু করে। আমরা থানায় ফোন করলে বড়বাবু আমাদের জানান এখানে দাঁড়িয়ে থাকার কোনও পারমিশন নেই। তারা জোর জবরদস্তি এখানে দাঁড়াতে চায়।
অপরদিকে অটোচালকদের বক্তব্য, গাংপুর স্টেশন রুটে অটো চালানোর রুট পারমিট দিয়েছে আরটিও। তাই গাংপুর স্টেশন থেকে অনাময় এবং আলিশা পর্যন্ত অটো চলে। তাঁদের অভিযোগ, আরটিও-র রুট পারমিট থাকলেও স্টেশনে অটোকে দাঁড়াতে দেয় না পুলিশ। পুলিশ আরটিও-র পারমিট মানতে চায় না বলেও অভিযোগ করেন অটোচালকরা। কিছুটা হতাশার সুরেই তাঁরা বলেন, আমরা লোন নিয়ে অটো কিনেছি। প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের টাকা ইএমআই দিতে হয়। কিন্তু অটো চালাতে না পারলে এই লোন কী করে পরিশোধ করব আমরা?
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Clash