Purba Bardhaman: আধার কার্ড ও সই জাল করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে অবৈধ কাজকর্ম
Last Updated:
এক সিভিক ভলান্টিয়ারের আধার কার্ড ও সই জাল করে অপরাধ চক্রের লোকজন খুলেছিল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানায় কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নামে খোলা ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অবৈধ লেনদেন চালানোর অভিযোগে এক দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি।
পূর্ব বর্ধমান: এক সিভিক ভলান্টিয়ারের আধার কার্ড ও সই জাল করে অপরাধ চক্রের লোকজন খুলেছিল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানায় কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নামে খোলা ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অবৈধ লেনদেন চালানোর অভিযোগে এক দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি। ধৃতের নাম হাসান শেখ ওরফে ভালু। তার বাড়ি ভাতার থানার ওড়গ্রামের সরকারপাড়ায় । ভাতার থানার সাহায্য নিয়ে সিআইডি হাসান শেখকে গ্রেপ্তার করে। ইতিমধ্যেই ধৃতের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন হাসান শেখের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার শ্যামল শিকদার। সিজেএম ১০ দিনের সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
সিআইডি সূত্রে খবর, যাঁর আধার কার্ড ও সই জাল করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তার নাম ইয়াসউদ্দিন মল্লিক। তিনি খণ্ডঘোষ থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। গত ২১ এপ্রিল জনা চারেক লোক তার বাড়িতে যান। তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছে বলে তারা তাঁকে জানায়। তা শুনে আকাশ থেকে পড়েন ইয়াসউদ্দিন। বর্ধমানের কোনও ব্যাংকে তাঁর অ্যাকাউন্ট নেই বলে ইয়াসউদ্দিন তাদের জানিয়ে দেন। পরেরদিন ব্যাংকে এসে ইয়াসউদ্দিন খোঁজখবর নেন। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তাঁর আধার কার্ড এবং সই জাল করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং তাতে লেনদেন করা হয়েছে।
advertisement
advertisement
তা জানার পরই বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ইয়াসউদ্দিন। বর্ধমান থানা প্রথমে তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীকালে তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। আর তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে, বর্ধমান থেকে অসমে লরিতে লোহা পাঠানো হচ্ছিল। মাঝপথে লোহা বোঝাই লরিটি গায়েব হয়ে যায়। লরি ভাড়া বাবদ নেওয়া টাকা ইয়াসউদ্দিনের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। লোহা গায়েব করার ঘটনায় সিআইডি তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
advertisement
লোহা গায়েব করে লরির নম্বর প্লেট ও রং বদল করে দেওয়া হয়। লরির মালিক ও হাসান সহ কয়েকজন ঘটনায় জড়িত বলে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। লোহা গায়েবের মামলায় ধৃত তিনজনকেই সিআইডি হেফাজতে নিয়েছে। ফলে এই ঘটনায় মোট ৪টি মামলা হয়েছে। সব কটি মামলারই তদন্ত করছে সিআইডি।
advertisement
Malobika Biswas
Location :
First Published :
June 17, 2022 10:54 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Purba Bardhaman: আধার কার্ড ও সই জাল করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে অবৈধ কাজকর্ম