Purba Bardhaman: দুঃস্থ পড়ুয়াদের আর্থিক সাহায্য করেন বর্ধমানের দিলীপ
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
এক সময় নিজে কষ্ট করে পড়াশোনা করেছেন ৷ পায়ে হেঁটে জমির আলপথ ধরে স্কুলে গিয়েছেন। ভাল করে পড়াশোনা করতে পারতেন না তিনি।
#পূর্ব বর্ধমান : এক সময় নিজে কষ্ট করে পড়াশোনা করেছেন ৷ পায়ে হেঁটে জমির আলপথ ধরে স্কুলে গিয়েছেন। ভাল করে পড়াশোনা করতে পারতেন না তিনি। বহু কষ্টে করে স্কুল ফাইনাল পাশ করে, পড়াশোনা শেষ করে চাকরি জীবন শুরু করেন তিনি। নিজের জীবনের কষ্টের কথা ভেবে দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের জন্য কিছু করার চিন্তা করতেন তাদের পাশে দাঁড়াতে চাইতেন। আর সেই থেকেই চাকরি জীবন থেকে দুঃস্থ কৃতী ছাত্র ছাত্রীদের সাহায্য করে আসছেন বর্ধমানের দিলীপ কুমার মণ্ডল। আর সেই সাহায্য এখনও করে চলেছেন তিনি। সম্প্রীতি মাধ্যমিক পরীক্ষায় দশম স্থানাধিকারী বর্ধমানের সৌনক বন্দোপাধ্যায়ের পড়াশোনার জন্য দিয়েছেন এক লক্ষ টাকা এবং সিএমএস হাইস্কুলের জন্য দু’লক্ষ টাকা দান করেছেন দিলীপবাবু ৷ এছাড়াও মাধ্যমিকে পঞ্চম স্থানাধিকারী বর্ধমানের বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী সামিয়া ইয়াসমিনকেও আর্থিক সাহায্য করেছেন তিনি। এই কাজে দিলীপ বাবুর পাশে থাকেন তাঁর স্ত্রী শুভ্রা মন্ডল।
প্রৌঢ় দিলীপ কুমার মন্ডল বলেন, 'একটা সময় অনেক কষ্ট করতে হয়েছে জীবনে। পড়াশোনা করতে গিয়েও কষ্ট করেছি। তাই দুঃস্থদের পড়াশোনার জন্য সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। এই কাজে স্ত্রী ভীষণ ভাবে সাহায্য করে । পেনশনের টাকা দিয়ে দিব্যি চলে যাচ্ছে আমাদের ।
advertisement
advertisement
বয়স প্রায় আশি । স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন দিলীপ কুমার মণ্ডল। চাকরি জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকেই সঞ্চয় ও পেনশনের টাকায় সংসার চলে তাঁর । সেই টাকা থেকেই প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই দান করেছেন মেধাবী দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার জন্য বাকি জীবনটাও নিঃশব্দে দান করে যেতে চান বর্ধমানের প্রৌঢ়।
advertisement
এ বিষয়ে সিএমএস স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, 'এভাবে যদি সকলে এগিয়ে আসে। তাহলে আমাদের সমাজ উন্নতি করবে। এরকম মানুষগুলোকেই তো দরকার। দিলীপ বাবু ভগবান।‘
Malobika Biswas
Location :
First Published :
July 18, 2022 7:45 PM IST