‘প্রাণে বাঁচতে শেষ মুহূর্তে মিনিবাস থেকে ঝাঁপ মারলাম’
Last Updated:
নিশ্চিত মৃত্যুমুখ থেকে বাঁচতে মিনি বাস থেকে ঝাঁপ মেরেছিলেন প্রান্তিকা গোস্বামী।
#কলকাতা: মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন। নিশ্চিত মৃত্যুমুখ থেকে বাঁচতে মিনি বাস থেকে ঝাঁপ মেরেছিলেন প্রান্তিকা গোস্বামী। গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএমে ভর্তি হলেও আপাতত স্থিতিশীল পৈলান কলেজের ট্যুরিজম বিভাগের ছাত্রী। প্রান্তিকার দুর্ঘটনার খবর জানার পর থেকে উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় প্রান্তিকার পরিবার।
ব্রিজ দুর্ঘটনার পরে প্রায় ঘণ্টাখানেক খোঁজ মিলছিল না। ওই রাস্তা দিয়েই পৈলানের কলেজ থেকে ফেরে মেয়ে। কান্নার রোল পড়ে যায় প্রান্তিকার পরিবারে। জানা যায়, ব্রিজ ভেঙে পড়ার সময় প্রাণে বাঁচতে মিনি বাস থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন প্রান্তিকা। তাঁকে মাঝেরহাট ব্রিজ থেকে উদ্ধার করেন কয়েকজন যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে।
advertisement
advertisement
সকলের প্রিয় প্রান্তিকার দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চোখের পাতা এক করতে পারেনি গোস্বামী পরিবারও। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার বড়িশায় গ্রামের বাড়ি প্রান্তিকার। দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার ভবানীপুরে কাজের সূত্রে থাকেন প্রান্তিকার বাবা।
আরও পড়ুন
‘মাছ ধরতে গেলে লাগে কন্ডোম’! নিরোধের এমন অভিনব ব্যবহার আগে জানতেন?
সাড়ে ৪টের সময় দুর্ঘটনা হলেও সন্ধের দিকে প্রান্তিকার খবর পান ঠাকুমা-দাদু। তারপর থেকেই ঘনঘন কলকাতায় ভাইকে ফোন পিসির। হাতে-পায়ে চোট পেলেও আপাতত স্থিতিশীল প্রান্তিকা। তবে কাটেনি ট্রমা। হাসপাতালে মেয়ের পাশেই আছেন প্রান্তিকার মা। দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুক প্রান্তিকা, প্রার্থনা ঠাকুমা-পিসি-দাদুর।
advertisement
আরও পড়ুন
মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতায় ৫০ হাজার বেতনের সরকারি চাকরি, আবেদন করুন এখনই
কাজের সূত্রে গ্রামের অনেককেই রোজ যেতে হয় কলকাতা। ব্রিজ ভাঙার ঘটনায় তাই আতঙ্কে গ্রামবাসীও। ব্রিজ সংস্কারে আরও নজর দিন মুখ্যমন্ত্রী, চায় গোস্বামী পরিবার।
Location :
First Published :
September 05, 2018 4:23 PM IST