Viral News: গোপনে নাতনির ডিএনএ পরীক্ষা করিয়েছিলেন বৃদ্ধা, তাতে যা জানা গেল... বিপর্যয় নেমে এল গোটা পরিবারে
- Published by:Salmali Das
- trending desk
Last Updated:
Viral News: কিন্তু শেষে খানাপিনা নয়, বরং অন্য কিছু অপেক্ষা করেছিল তাঁদের জন্য। যে সত্যিটা প্রায় ১৭ বছর ধরে চাপা দেওয়া ছিল। একটি খামবন্ধ চিঠিই যেন ফাঁস করল গোপন সেই সত্য।
সাধারণ একটা পারিবারিক নৈশভোজ হওয়ার কথা ছিল। সকলে মিলে একযোগে বসে খানাপিনা, সঙ্গে আড্ডা-গল্প-হইচই এটুকুই হত। কিন্তু এক মহিলা এবং তাঁর পরিবার নিজের শাশুড়ির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু শেষে খানাপিনা নয়, বরং অন্য কিছু অপেক্ষা করেছিল তাঁদের জন্য। যে সত্যিটা প্রায় ১৭ বছর ধরে চাপা দেওয়া ছিল। একটি খামবন্ধ চিঠিই যেন ফাঁস করল গোপন সেই সত্য।
এই গোটা গল্পটাই ভাগ করে নেওয়া হয়েছে রেডিটের একটি পোস্টের মাধ্যমে। যা সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পোস্টদাতা লিখেছেন যে, সেদিনের সন্ধ্যাটা বিশেষ ঘটনাবহুল ছিল না। ওই মহিলা নিজের স্বামী এবং তিন সন্তানকে নিয়ে শাশুড়ির আমন্ত্রণে তাঁর বাড়িতে নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু খেতে বসার আগেই বৃদ্ধা মহিলা তাঁর হাতে একটি খাম তুলে দিয়েছিলেন। আর সেই খামের ভিতরে ছিল যেন একটি বোমা-চিঠি। আসলে ওই বৃদ্ধা মহিলা তাঁদের না জানিয়ে অনুমতি না নিয়ে একটি ডিএনএ পরীক্ষা করিয়েছিলেন। সেটার ফলাফলই ছিল ওই খামটির ভিতর।
advertisement
advertisement
ওই দম্পতির ১৭ বছর বয়সী কন্যার ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়েছিল। পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, যে মেয়েটিকে জন্মের সময় থেকে ওই ব্যক্তি মানুষ করেছিলেন, সেই মেয়েটির সঙ্গে তাঁর কোনও বায়োলজিক্যাল সম্পর্কই নেই। গোপন সত্যি সামনে আসতেই চুপ করে যায় গোটা পরিবারটি। আসলে মেয়েটির মায়ের জন্য এটা ছিল একটা বেদনাদায়ক অধ্যায়। যা আবারও তাঁর জীবনে ফিরে এসেছিল। নিজের পোস্টে খোলামেলা ভাবে ওই মহিলা জানান যে, প্রায় ২০ বছর আগে কন্যাসন্তানের জন্মের ঠিক আগেই তাঁর বাড়িতে জোর করে প্রবেশ করে কিছু দুষ্কৃতী। সেই সময় ধর্ষিতা হয়েছিলেন তিনি।
advertisement
এদিকে সেই সময় ওই মহিলা আর তাঁর স্বামী একটা সন্তানের জন্য চেষ্টা করছিলেন। ওই ঘটনার পর মহিলা আচমকা জানতে পারেন যে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু শিশুটি আদতে তাঁর স্বামীর না কি ধর্ষণের ফল, সেটা জানার কোনও উপায়ও ছিল না তাঁর কাছে। মহিলা তাই নিজের স্বামীকে পিতৃত্বের পরীক্ষা করানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু মহিলার স্বামী তাতে রাজি হননি। তিনি বলেছিলেন যে, বিষয়টায় কিছু যায়-আসে না। কারণ তিনি নিজের স্ত্রীকে ভালবেসেছেন। আর যে সন্তান আসছে, তাকেও তিনি নিজের মনে করেই ভালবাসবেন।
advertisement
কিন্তু তাঁরা অতীতকে ধামাচাপা দিলেও মহিলার শাশুড়ি বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মনে সন্দেহ দানা বাঁধে যে, বাচ্চাটির সঙ্গে তাঁর পুত্রের মুখের কোনও মিল নেই। তাই কাউকে কিছু না বলে ডিএনএ পরীক্ষা করান তিনি। যা পরিবারের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে। এর পরে যা হল, তা ভয়ঙ্কর। ওই মহিলার স্বামী এক সময় বাচ্চাটি সম্ভাব্য ধর্ষণের ফল বলে মনে করলেও বাস্তব যেন তাঁকে কুরে কুরে খেতে থাকে। ফলে মায়ের সঙ্গে ওই ব্যক্তির সম্পর্ক নষ্ট হয়।
advertisement
বারবার ক্ষমা চাওয়াতেও কাজ হয়নি। এদিকে ওই মহিলা নিজের কিশোরী কন্যার সামনে পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। আঘাত পেলেও পরিণতমনস্ক মেয়েটি মায়ের পাশেই দাঁড়িয়েছে। আর মায়ের স্বামীকেও নিজের বাবা বলেই মেনে নিয়েছে সে। অন্যদিকে ওই ব্যক্তি নিজেও জানান, রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও সে তাঁর নিজেরই কন্যা থাকবে। এই একই সত্য ওই দম্পতি নিজেদের বাকি দুই সন্তানকে জানান। তারাও বিষয়টি সহজ ভাবেই গ্রহণ করেছে।
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 29, 2025 3:01 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Viral News: গোপনে নাতনির ডিএনএ পরীক্ষা করিয়েছিলেন বৃদ্ধা, তাতে যা জানা গেল... বিপর্যয় নেমে এল গোটা পরিবারে