নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে নদীর জল থেকে সোনা তুলছেন গ্রামবাসীরা, উড়ছে লক্ষ লক্ষ টাকা; কোথায় জানেন?

Last Updated:

পৃথিবীর গর্ভে লুকোনো থাকে সোনা। নানা দেশে রয়েছে সোনার খনি। কিন্তু এই পৃথিবীতেই এমন কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে নদীর জল থেকে সোনা তোলার কাজ চলে। যদিও সেই কাজ আইনসিদ্ধ নয়।

নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে নদীর জল থেকে সোনা তুলছেন গ্রামবাসীরা, উড়ছে লক্ষ লক্ষ টাকা; কোথায় জানেন?
নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে নদীর জল থেকে সোনা তুলছেন গ্রামবাসীরা, উড়ছে লক্ষ লক্ষ টাকা; কোথায় জানেন?
লাহোর: সোনার নদী- এমন গল্প রূপকথায় নয়, এই বাস্তব পৃথিবীতেই রয়েছে। সত্যিই নদীর জলে পাওয়া যায় সোনা।
সোনা এমন এক ধাতু যা পৃথিবীতে বিরল এবং এর চাহিদার জন্য দামও প্রচুর। বিশ্ব অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই হলুদ ধাতুটি। বর্তমান বিশ্ব প্রবল আগ্রহে তাকিয়ে আগামী দিনে সোনার গতিপ্রকৃতির দিকে। এই পরিস্থিতিতে একটি গ্রামে চলছে নদী থেকে সোনা সেঁচে তোলার কাজ।
পৃথিবীর গর্ভে লুকোনো থাকে সোনা। নানা দেশে রয়েছে সোনার খনি। কিন্তু এই পৃথিবীতেই এমন কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে নদীর জল থেকে সোনা তোলার কাজ চলে। যদিও সেই কাজ আইনসিদ্ধ নয়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ একাজ করে চলেছেন। দাবি, এই সোনা বাজারে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন গ্রামের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি এমন, এখন ঠিকাদার সংস্থাগুলিও ঝাঁপিয়ে পড়েছে নদীর বুকে।
advertisement
advertisement
কোথায় এই গ্রাম—
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার নওশাহরা জেলায় একটি নয়, বেশ কয়েকটি গ্রামে এমন কাজ চলে। আসলে এই সব গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সিন্ধু নদ। গ্রামের ভিতর তার নাম আবাসিন নদী। এরই অববাহিকায় পাওয়া যায় সোনার কণা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বালি তুলে তা পরিশুদ্ধ করে সোনা আলাদা করার কাজ করেন। গত কয়েক বছর ধরে ঠিকাদাররাও এই কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। কাজে লেগেছে প্রচুর যন্ত্র।
advertisement
কোথা থেকে আসে এই সোনা—
এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক বছর আগে পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল এই বিষয়ে গবেষণা করেছিল। সিন্ধু নদ এবং কাবুল নদীর গর্ভে সোনা রয়েছে বলে তারা জানায়। নদীর যত গভীরে যাওয়া যাবে সোনার পরিমাণ ততই বাড়বে। আসলে ভূ-গর্ভে সঞ্চিত ধাতু পাথর লাভা রূপে বেরিয়ে আসে অনেক সময়ই। আগ্নেয়গিরির খোলা মুখ থেকে বেরিয়ে সেই সব লাভা হিমবাহ ভেঙে ধীরে ধীরে এসে মেশে নদী, সাগরে। লাভার মধ্যেই থাকে গলিত সোনা। পরে শীতল হয়ে ওই ভারী ধাতু নদীর তলদেশে থিতিয়ে যায়।
advertisement
নদীর তিনটি জায়গা সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি—
গবেষকদের মতে, তিনটি জায়গায় নদীর জলে সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রথমত, যেখানে নদীর দিক পরিবর্তিত হয়। দ্বিতীয়ত, যেখানে বাঁধ রয়েছে এবং তৃতীয়ত, কোনও নদীর সঙ্গমস্থলে।
advertisement
এই এলাকাতেও কাবুল ও সিন্ধু নদীর সঙ্গমস্থলে এই ধরনের মূল্যবান ধাতু প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে।
কীভাবে হয় পরিশোধন—
ঠিকাদাররা বড় শক্তিশালী লোহার চালুনি স্থাপন করে নদীর পাড়ে। সেখানেই বালি ধুয়ে ফেলা হয়। যন্ত্রের সাহায্যে নদীর বালি, মাটি ও পাথর তুলে তা জল দিয়েই ধোয়া হয়। চালনির উপরে বড় বড় পাথর রাখা হয়, বালির কণা আটকায় নিচের কার্পেটে। কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর সোনার কণা আলাদা করা যায়। স্থানীয় বাজারে চালান হয়। সেখানে ওই সোনা গলিয়ে খাঁটি সোনা তৈরি করা হয়। যদিও এর গুণমান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে নদীর জল থেকে সোনা তুলছেন গ্রামবাসীরা, উড়ছে লক্ষ লক্ষ টাকা; কোথায় জানেন?
Next Article
advertisement
October Horoscope 2025: রাশিফল অক্টোবর ২০২৫: দেখে নিন এই মাস নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
রাশিফল অক্টোবর ২০২৫: দেখে নিন এই মাস নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
  • রাশিফল অক্টোবর ২০২৫

  • দেখে নিন এই মাস কেমন যাবে আপনার ?

  • জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

VIEW MORE
advertisement
advertisement