Time Free Island: এই দ্বীপে সূর্য অস্ত যায় না, রাত ২ টোয় লোকজন ঘর রঙ করে, অবাক কাণ্ড
- Published by:Sayani Rana
- news18 bangla
Last Updated:
নরওয়েতে এমন একটি দ্বীপ রয়েছে, যেখানে বছরে কিছু মাস সূর্য অস্ত যায় না।
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, সূর্য অস্ত না গেলে আমরা দিন-রাতের খবর জানতাম কীভাবে? আমরা কখন বিশ্রাম নেব এবং কখন আমরা কাজ শুরু করব তা কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতাম? দিনরাতের ধারণার কারণেই আমাদের জীবন এমন সুশৃঙ্খলভাবে চলতে পারে, না হলে আমাদের জীবন খুব কঠিন হত। কিন্তু আজ আপনাকে এমন একটি জায়গা সম্পর্কে বলব, যেখানে কয়েক মাস টানা দিন বা আবার কয়েক মাস টানা রাত।
নরওয়েতে এমন একটি দ্বীপ রয়েছে, যেখানে বছরে কিছু মাস সূর্য অস্ত যায় না। দ্বীপে, সূর্য ১৮ মে থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৬৯ দিন অস্ত যায় না। এর পরে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ মেরু রাত্রি হয়। প্রকৃতির এই অনন্য দৃশ্যটি Sommarøyদ্বীপে দেখা যায়।
advertisement
advertisement
এই জায়গায় মে থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট প্রায় ৬৯ দিন থাকে সূর্য একেবারেই অস্ত যায় না। তারপরের পরের ৩ মাস এমনই, সূর্য একেবারেই ওঠে না। তার মানে প্রায় ৬৯ দিনের জন্য ২৪ ঘন্টা আলো এবং অন্যদিকে ৩ মাস ২৪ ঘন্টা অন্ধকার।
আরও পড়ুন: ’58’-এর ভিড়ে আরও একটি সংখ্যা লুকিয়ে আছে, ৪ সেকেন্ডের মধ্যে এটি খুঁজে বার করতে পারলেই কেল্লাফতে
advertisement
দিন-রাত্রির এই চক্রটির মুখোমুখি হতে হয় এখানকার নাগরিকদের। এটি তাঁদের জীবনযাত্রার জন্য খুবই কঠিন। এই অবস্থায় তারা ক্রমাগত দাবি জানিয়ে আসছে যে তাদের এলাকাকে বিশ্বের প্রথমবারের মতো মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হোক।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এখানকার বাসিন্দারা টাইম ফ্রি জোন হওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। তার মতে, যে কদিন সূর্য অস্ত যায় না, তখন সময় কোন ব্যাপার না। তারা রাত ২ টায় ঘর রঙ করতে পারে, এমনকি ভোর ৪ টায় সাঁতার কাটতে পারে। এখানকার মানুষ ব্যবসা ও কাজের জন্য ঘড়ির সাহায্য নেয় না। যদিও হোটেল এবং লজের মতো ব্যবসার জন্য ঘড়ি ব্যবহার করা হয়, তবুও অনেকে বলে যে তারা স্বাধীনভাবে তাদের জীবনযাপন করতে চায়, এমন পরিস্থিতিতে তাদের ঘড়ির সীমাবদ্ধতার প্রয়োজন নেই।
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
June 24, 2023 2:12 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Time Free Island: এই দ্বীপে সূর্য অস্ত যায় না, রাত ২ টোয় লোকজন ঘর রঙ করে, অবাক কাণ্ড