Smallest park: বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পার্ক! জানেন কারা আসে সেখানে বেড়াতে
- Published by:Sayani Rana
- trending desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
এই পৃথিবীতে এমন একটি পার্ক রয়েছে, যেখানে একা একা ঘোরাঘুরি করাও সম্ভব নয়, প্রায় সম্ভব নয় চুপ করে এক জায়গায় বসে থাকাও।
আমেরিকা: পৃথিবী থেকে কমে আসছে সবুজ। নগরায়নের ধাক্কায় কংক্রিটের ভিড়ে উদ্যান হারিয়ে যেতে বসেছে। তবু মানুষ পরিকল্পনা করে কিছু পার্ক বানায়। সেটুকুই শ্বাস নেওয়ার জায়গা। অনেকেই সকাল বিকেল পার্কে যান, হাঁটতে। ছোটরা যায় খেলতে। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে যান, কেউ পছন্দ করেন একা থাকতে। কিন্তু এই পৃথিবীতে এমন একটি পার্ক রয়েছে, যেখানে একা একা ঘোরাঘুরি করাও সম্ভব নয়, প্রায় সম্ভব নয় চুপ করে এক জায়গায় বসে থাকাও।
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পার্কের নাম ‘মিল এন্ডস পার্ক’। এটি রয়েছে আমেরিকার ওরেগন রাজ্যের পোর্টল্যান্ডে। পার্কটি এতই ছোট যে তাকে একটি টব-ও বলা চলে। সেখানে মাত্র একটিই গাছ লাগানো যায়। তবে এই পার্কের ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
advertisement
advertisement
১৯৪৮ সালে এই পার্কটিকে একটি সিটি পার্ক হিসাবে গণ্য করা হতে শুরু হয়। ১৯৭৬ সালে, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ এটিকে সবচেয়ে ছোট পার্কের মর্যাদাও দেওয়া হয়। এই পার্কটি মাত্র ২ ফুট চওড়া এবং এর মোট এলাকার পরিমাণ ৪৫২ বর্গ ইঞ্চি।

advertisement
জানা যায়, ১৯৪৬ সালে ডিক ফাগান নামে এক ব্যক্তি এই পার্ক তৈরি করেন। ডিক ফাগান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ওরেগন ফিরে এসে সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর অফিসের সামনের রাস্তায় একটি বড় গর্ত তৈরি করা হয়েছিল। আসলে সেখানে বৈদ্যুতিক আলোর খুঁটি বসানোর কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পর্যন্ত সেখানে খুঁটি লাগানো না হওয়ায় ডিক একটি গাছ লাগিয়ে দেন।
advertisement
ডিক সেই সময় ‘মিল এন্ড’ নামে একটি কলাম লিখতেন সংবাদপত্রে। এই কলামে শহরের বিভিন্ন পার্ক নিয়ে প্রতিবেদন লিখতেন, সেখানে কী অনুষ্ঠান হচ্ছে তার তথ্য দিতেন। এই পার্কের তথ্যও দিতে থাকেন। তিনি এটির নামকরণ করেন এবং এটিকে সবচেয়ে ছোট পার্ক হিসেবে তুলে ধরেন। এই পার্কটি সেন্ট প্যাট্রিক দিবসে উৎসর্গ করা হয়েছিল। আসলে ফাগান নিজে একজন আইরিশ ছিলেন।
advertisement
ফাগানের লেখায় উঠে আসে আইরিশ গল্পের কাল্পনিক চরিত্র লেপ্রেচাউনদের কথা। তিনি বলতেন এই ছোট্ট পার্কে আসে লেপ্রেচাউনেরা। ১৯৫৯ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত চলে এই লেখালিখি। আসলে লেপ্রাচাউনেরা খুবই খর্বাকৃতি।
ফাগানের মৃত্যুর পরেও মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে, এই পার্কে প্রজাপতি, শামুক ইত্যাদির প্রাণীরা আসে, তাদের দৌড় প্রতিযোগিতা হয়। পার্কটি ঠিক আগের মতোই রয়ে গিয়েছে। ২০০৬ সালে কিছু কাজের জন্য পার্কটি কয়েক দিনের জন্য অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
December 30, 2023 5:05 PM IST