#পুণে: এই ক্যাফে প্লেটে সাজিয়ে দিচ্ছে ভাং-এর স্যান্ডুইচ, গাঁজা মেশানো কফি! আইন মেনে ভারতেই চলছে এই দোকান। সত্যি এমনই এক দোকান চলছে পুণেতে। এগুলি সুস্বাদু, এমনই নয়, স্বাস্থ্যকরও। এই ক্যাফের মালিকদের দাবি, একেবারে শোীগরহস্বাস্থ্যবিধি মেনে এগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে এতে শরীরের উপকার হয়। এই ক্যাফের নাম দ্যা হেম্প ক্যাফেষ অম্রুতা শিতোলে এই ক্যাফের মালিক। তিনি চান, এর মাধ্যমে ভাং, গাঁজা নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণার যেন অবসান হয়।
চার বছর আগে, পুণেতে এই ক্যাফের ব্যবসা শুরু করেন অম্রুতা। তখন তিনি হেম্প নির্ভর খাবারই বিক্রি করতেন। চার বছর ধরে সেই খাবারের সম্ভার তিনি ভরিয়ে চলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভাংয়ে একটি স্বাস্থ্যগত উপাদান রয়েছে। ভারতের আয়ুষ চিকিৎসকরা এই উপাদানের উপস্থিতির কথা স্বীকার করেছেন। সেই কারণে এটিকে ইতিমধ্যে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ওষুধও তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ছিল কড়া নির্দেশ, ফের সিবিআই ডেরায় অনুব্রত মণ্ডল! ঢোকার আগেই যা বললেন...
তিনি বলেছেন, গাঁজা পাতা নয়, তাঁরা খাবারে ব্যবহার করেন গাঁজার বীজ। অনেকেই আমাদের মধ্যে গাঁজা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণার শিকার। এমনকী ভাংকেও আমরা শুধু মাত্র নেশার দ্রব্য হিসাবেই ভেবে থাকি। মারিজুয়ানা ও হেম্প এগুলি উভয় ক্ষেত্রেই গাঁজার ভিন্নভিন্ন নাম। এতে কত পরিমাণ টিএইচসি রয়েছে, সেটি হিসাব করে এই নাম দেওয়া হয়।
যেগুলি আইনের আওতায় পড়ে, সেই হেম্পের মধ্যে ০.৩ শতাংশ টিএইচসি থাকতে পারে। এগুলি রান্নায় বা ওষুধে ব্যবহার করা হতে পারে। যদিও মহারাষ্ট্রে এগুলির চাষ বৈধ নয়। কিন্তু উত্তরাখণ্ড কয়েকবছর আগে এটির বৈধতা স্বীকার করেছে। অম্রুতা ও তাঁর সঙ্গী এগুলি ব্যবহার করে সুস্বাদু খাবার তৈরি করে থাকেন। এ ছাড়া হেম্প ওয়েল, হেম্প লাড্ডু,, প্রোটিন পাউডারের মতো জিনিসও বিক্রি করেন অম্রুতা। কেমন কাজ করে হেম্প, অম্রুতা নিজের উদাহরণ দিয়েছন। তিনি বলেছেন, কয়েকবছর আগে আমি অবসাদে ভুগছিলাম। সেই সময়ে আমি উত্তরাখণ্ড যাই, সেখানে আমি হেম্পের উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পারি। কার্যত ম্যাজিকের মতো কাজ করে এটি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Marijuana