পঞ্চাঙ্গ ৩০ মার্চ: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন!

এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?

ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৩০ মার্চের কিছুটা পড়েছে ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে। রাজা বিক্রমাদিত্য যে বছর গণনার রীতি প্রবর্তন করেছিলেন, সেই বিক্রম সম্বত মেনেই এই পঞ্চাঙ্গ বর্তমানে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বার হল মঙ্গল এবং এই দ্বিতীয়া তিথি থাকবে ৩০ মার্চ বিকেল ৫টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে তৃতীয়া তিথি।

পঞ্চাঙ্গ মতে আজ সূর্যোদয় হয়েছে সকাল ৬টা ২৪ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ৩০ মার্চ রাত ৮টা ৩১ মিনিটে । চন্দ্র অস্ত যাবে ৩১ মার্চ সকাল ৮টা ১৪ মিনিটে।

এই ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির নক্ষত্র হল চিত্রা। ৩০ মার্চ, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২২ মিনিট পর্যন্ত চিত্রা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পর তিথিতে অবস্থান করবে স্বাতী নক্ষত্র।

সূর্য অবস্থান করবে মীন রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে তুলা রাশিতে।

শুভ মুহূর্ত- ৩০ মার্চ অভিজিৎ মুহূর্ত শুরু হচ্ছে দুপুর ১২টা ০৬ মিনিটে, শেষ হচ্ছে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে। আজ অমৃতকাল শুরু হচ্ছে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে, শেষ হচ্ছে সকাল ৮টা ০৬ মিনিটে। এই অভিজিৎ মুহূর্ত এবং অমৃতকালকে ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।

অশুভ মুহূর্ত- পঞ্চাঙ্গ মতে ৩০ মার্চ রাহুকাল শুরু হচ্ছে দুপুর ৩টে ৩৪ মিনিটে, শেষ হচ্ছে বিকেল ৫টা ০৬ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।