পঞ্চাঙ্গ ৩০ জানুয়ারি: পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চাঁদের অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন বৈদিক দিনপঞ্জি। যেখানে উল্লেখ থাকে নানা শুভ এবং অশুভ মুহূর্তের। প্রচলিত বিশ্বাস- এই মুহূর্তগুলিতে যে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুসারে শুভাশুভ ফললাভ হয়ে থাকে।
এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৩০ জানুয়ারি পড়েছে ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে। রাজা বিক্রমাদিত্য যে বছর গণনার রীতি প্রবর্তন করেছিলেন, সেই বিক্রম সম্বত মেনেই এই পঞ্চাঙ্গ বর্তমানে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বার হল শনি এবং এই দ্বিতীয়া তিথি সকাল ১০টা ১২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এর পর শুরু হয়ে যাবে ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয়া তিথি।
পঞ্চাঙ্গ মতে আজ সূর্যোদয় হয়েছে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে ৫টা ৫৯ মিনিটে। অন্য দিকে, সন্ধ্যা ৭টা ৩৭ মিনিটে চন্দ্রোদয় হবে। ৩১ জানুয়ারি সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে চন্দ্র অস্ত যাবে।
এই ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির নক্ষত্র হল মঘা। ৩১ জানুয়ারি, রবিবার রাত ২টো ২৮ মিনিট পর্যন্ত মঘা রাশির অবস্থান থাকবে। এর পর তিথিতে অবস্থান করবে পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র। ৩১ জানুয়ারি, রবিবার সারা দিন এর অবস্থান থাকবে, শেষ হবে মধ্যরাতে।
সূর্য অবস্থান করবে মকর রাশিতে, অন্য দিকে চন্দ্র গমন করবে সিংহ রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রের ২৮তম নক্ষত্র অনুসারে অভিজিৎ মুহূর্ত শুরু হচ্ছে দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটে, শেষ হচ্ছে দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিটে। একে ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
অশুভ মুহূর্ত- পঞ্চাঙ্গ মতে রাহুকাল শুরু হচ্ছে সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে, শেষ হচ্ছে সকাল ১১টা ৪৪ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।