Rishikesh & Lakshmanjhula: হিমালয়ের কোলে তপোভূমির নাম কেন হল ‘ঋষিকেশ’? বাঙালির অতি প্রিয় ‘লছমনঝুলা’-র এই ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন!
- Written by:Bangla Digital Desk
- trending desk
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
Last Updated:
Rishikesh & Lakshmanjhula: হিমালয়ের কোলে এবং গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরটি আধ্যাত্মিকতা, শান্তি এবং শক্তিতে পরিপূর্ণ। আজকের ঋষিকেশ যোগব্যায়াম এবং সুস্থতার পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
ভারতকে তপোভূমি বললে বিন্দুমাত্র অত্যুক্তি হয় না, আধ্যাত্মিকতা এই দেশের শিরায় বইছে। উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ দেশের অন্যতম বিখ্যাত এবং পবিত্র স্থানগুলির মধ্যে একটি। এটি কেবল ভারতেরই নয়, সমগ্র বিশ্বের যোগ ও ধ্যানের রাজধানী হিসেবে পরিচিত। হিমালয়ের কোলে এবং গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরটি আধ্যাত্মিকতা, শান্তি এবং শক্তিতে পরিপূর্ণ। আজকের ঋষিকেশ যোগব্যায়াম এবং সুস্থতার পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু, এর ইতিহাস অনেক বেশি প্রাচীন এবং ঐশ্বরিক। এটি সেই ভূমি যেখানে ভগবান বিষ্ণু স্বয়ং ‘হৃষীকেশ’ রূপে আবির্ভূত হয়ে একজন ঋষির তপস্যার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছিলেন। এই ঘটনার কারণে এই শহরের নামকরণ করা হয় ‘হৃষীকেশ’, যা পরবর্তীতে ‘ঋষিকেশ’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
ইন্দ্রিয়ের অধিপতি –
লোকাল 18-এর সঙ্গে কথোপকথনে, পুরোহিত ধর্মানন্দ শাস্ত্রী ব্যাখ্যা করেন যে, হৃষীকেশ শব্দটি দুটি সংস্কৃত শব্দ থেকে এসেছে – ‘হৃষিক’ এবং ‘ঈশ’। ‘হৃষিক’ অর্থ ইন্দ্রিয় এবং ‘ঈশ’ অর্থ প্রভু। এর অর্থ ইন্দ্রিয়ের অধিপতি, স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু। প্রাচীন ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লিখিত কিংবদন্তি অনুসারে, রৈভ্য ঋষি নামে একজন মহান তপস্বী এই অঞ্চলে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। তাঁর তপস্যা এত গভীর এবং মহান ছিল যে স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু সন্তুষ্ট হয়ে একজন বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ রূপে তাঁর সামনে আবির্ভূত হন। ভগবান বিষ্ণু ঋষিকে বর চাইতে বললেন। পার্থিব সুখের পরিবর্তে, ঋষি একটি অনন্য বর প্রার্থনা করলেন – “হে প্রভু, আমি চাই এই ভূমি চিরকাল তোমার নামে পরিচিত হোক।” ভগবান বিষ্ণু ‘তথাস্তু’ বলেছিলেন এবং সেই থেকে এই স্থানটি ‘হৃষীকেশ’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
advertisement
advertisement
অজানা ইতিহাস –
view commentsপরবর্তীতে ‘হৃষীকেশ’ শব্দটি ‘ঋষিকেশ’-এ পরিবর্তিত হয়। কিন্তু, এর মূল আধ্যাত্মিক গভীরতা আজও রয়ে গিয়েছে। ঋষিকেশ সম্পর্কে অনেক ধর্মীয় গল্প এবং বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে। এখানকার ভরত মন্দিরে শালিগ্রামের তৈরি ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি রয়েছে, যা আদিগুরু শঙ্করাচার্য পুনর্প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এখানকার লক্ষ্মণ ঝুলা এবং রাম ঝুলার মতো বিখ্যাত স্থানগুলিও রামায়ণ যুগের সঙ্গে সম্পর্কিত গাথাগুলিকে জীবন্ত করে তোলে। বিশ্বাস করা হয় যে লক্ষ্মণ গঙ্গা পার হওয়ার জন্য যেখানে পাটের সেতু তৈরি করেছিলেন, সেই স্থানটিই আজ লক্ষ্মণঝুলা লছমনঝুলা নামে পরিচিত। অর্থাৎ লক্ষ্মণ বা লছমনের নামে নামাঙ্কিত ঝুলন্ত সেতু৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 26, 2025 10:37 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Rishikesh & Lakshmanjhula: হিমালয়ের কোলে তপোভূমির নাম কেন হল ‘ঋষিকেশ’? বাঙালির অতি প্রিয় ‘লছমনঝুলা’-র এই ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন!










