Padma Awards: ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পথ ধরেই যাত্রা শুরু, একজন ‘বেদান্তাচার্য’ হয়ে ভূষিত হলেন পদ্মশ্রীতে, অন্যজন হয়ে উঠলেন হাসির খোরাক ‘আইআইটি বাবা’
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Jonas Masetti Vs IIT Baba Story: ব্রাজিলের জোনাস বৈদিক ভারতীয় সংস্কৃতিকে গ্রহণ করেছেন। এমনকী আজ বেদান্তাচার্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আবার ভারতের অন্যতম সম্মানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছেন অভয় সিং।
নয়াদিল্লি: কথায় আছে, জ্ঞান নম্রতা আনে, আর ভণিতা আনে অবজ্ঞা। এটা শুধুই একটা প্রবাদ নয়, বরং এটা একটা চিরন্তন সত্য। এই প্রবাদে বিশ্বাস না হলে বরং এই দৃষ্টান্তটির দিকে তাকাতে হবে। আসলে একজন বিদেশি প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করে ভারতীয় জ্ঞান এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করেছেন। আর অন্যদিকে অন্য জন কিন্তু এখন কেবলই ঠাট্টার পাত্র কিংবা বলা ভাল, হাসির খোরাক হয়ে উঠেছেন। এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে ব্রাজিলের জোনাস মাসেত্তি এবং অভয় সিংয়ের কথা। ব্রাজিলের জোনাস বৈদিক ভারতীয় সংস্কৃতিকে গ্রহণ করেছেন। এমনকী, আজ বেদান্তাচার্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আবার ভারতের অন্যতম সম্মানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছেন অভয় সিং। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি হয়ে উঠেছেন আইআইটি বাবা। একপ্রকার হাসির খোরাক হয়ে রয়ে গিয়েছেন তিনি। এই দু’জনেই একই পথ ধরে নিজেদের যাত্রা শুরু করেছিলেন। অথচ যাত্রাপথে একজন খ্যাতি লাভ করেছেন বৈদিক গুরু হিসেবে, তো অন্যজন ভাইরাল ভিডিও-র জেরে হাসির পাত্র হয়ে উঠেছেন।
ব্রাজিলের জোনাস: ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে জন্ম জোনাস মাসেত্তির। মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং (আইএমই) থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ৫ বছরের জন্য ব্রাজিলের সেনাবাহিনীতে কর্তব্য পালন করেছেন। সেই সঙ্গে স্টক মার্কেটে স্ট্র্যাটেজিক কনসালট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেছেন জোনাস। কিন্তু জীবনে এত সাফল্যের পরেও তাঁর জীবনে যেন আধ্যাত্মিক শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। যোগা এবং বেদান্তের দিকে ঝোঁক বেড়েছিল। ২০০৩ সালে এই পথে পা বাড়ান তিনি। ধীরে ধীরে প্রথমে গ্লোরিয়া আরেইরার শিষ্য হয়ে ওঠেন। পরে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর শিষ্যত্ব লাভ করেন। ভারতের কোয়েম্বাটোরের আর্শা বিদ্যা গুরুকুলম থেকে ৪ বছরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন।
advertisement
advertisement
এরপর ২০১৪ সালে ব্রাজিল ফিরে যান জোনাস। পেট্রোপলিসে বিশ্ব বিদ্যা গুরুকুলম স্থাপন করেন। এখানে বেদান্ত, ভাগবত গীতা, সংস্কৃত এবং বৈদিক ঐতিহ্য পড়ানো হয়। আজ তাঁর এই অভিযান দেড় লক্ষেরও বেশি পড়ুয়ার কাছে পৌঁছে গিয়েছে। ২০২৫ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার দিয়ে তাঁকে সম্মানিত করেছে ভারত সরকার। এখানেই শেষ নয়, নিজের মন কি বাত অনুষ্ঠানে জোনাসের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এ-ও জানান যে, ভারতের সাংস্কৃতিক শক্তির জ্বলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত জোনাস।
advertisement
সোশ্যাল মিডিয়ার সন্ন্যাসী আইআইটি বাবা অভয় সিং: অন্যদিকে আইআইটি খড়গপুর থেকে পাশ করেছেন আইআইটি বাবা অভয় সিং। মহাকুম্ভের সময় তিনি হাসির খোরাক হয়ে উঠেছেন। সাধুর বেশ ধরে মহাকুম্ভে আগত ভক্তদের জ্ঞান বণ্টন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এখানেই শেষ নয়, এভাবেই ছবি তুলেছেন, দিব্যি রিল বানিয়েছেন তিনি। তরুণ প্রজন্মের কাছে যেন তাঁর এই স্টাইল রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু অভয় সিং আধ্যাত্মিকতার তুলনায় যেন মিমের বিষয়বস্তু হয়ে ওঠেন। এদিকে গুরুত্ব দিয়ে তাঁর মতাদর্শ শোনার আগেও অভয়ের বেশভূষা দেখে এবং আইআইটি বাবা নাম শুনে মানুষ হাসাহাসি শুরু করেন।
advertisement
কিন্তু কেন একজন বিশ্ববরেণ্য আর অন্য জন কেবল ঠাট্টার পাত্র? আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে গোটা বিশ্বে জোনাস আসলে বৈদিক জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, আইআইটি বাবার ভাবমূর্তি তেমন স্বচ্ছ নয়। বিশ্বনাথ হিসেবে পরিচিত জোনাস সাদামাটা জীবন কাটান। পরনে থাকা সুতির পোশাক, রুদ্রাক্ষের মালা আর পা থাকে খালি। তাঁর ভাষায় গভীরতা, চিন্তায় স্পষ্টতা এবং উপস্থাপনায় নম্রতা রয়েছে। তিনি বলেন যে, বেদান্ত শুধু একটা ধর্ম নয়, বরং এটা জীবনযাপনের একটা ধরন। তাঁর মতে, ভারতীয় তরুণ প্রজন্মকে কেবল পশ্চিমী চিন্তাভাবনা অনুকরণ করলেই চলবে না, এর পাশাপাশি তাঁদের ভারতীয় সংস্কৃতি বুঝতে এবং গ্রহণ করতে হবে।
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 29, 2025 3:53 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Padma Awards: ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পথ ধরেই যাত্রা শুরু, একজন ‘বেদান্তাচার্য’ হয়ে ভূষিত হলেন পদ্মশ্রীতে, অন্যজন হয়ে উঠলেন হাসির খোরাক ‘আইআইটি বাবা’