দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতেই হাইজ্যাকারদের কবলে পড়েছিল বিমান! দাবি শুনে মাথা ঘুরে গিয়েছিল নিরাপত্তা সংস্থাগুলিরও; অবশেষে ত্রাতা হয়ে এলেন অটল বিহারি বাজপেয়ী

Last Updated:

লখনউয়ের চৌধুরি চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উড়েছিল বিমানটি। কিন্তু দিল্লির মাটি ছোঁয়ার আগেই এল ভয়ঙ্কর সেই খবর, যা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে।

আইসি-৮১০ বিমানে ওইদিন কী ঘটেছিল ?
আইসি-৮১০ বিমানে ওইদিন কী ঘটেছিল ?
নয়াদিল্লি: রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিল ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের উড়ান আইসি-৮১০। সেই কারণে লখনউয়ের চৌধুরি চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উড়েছিল বিমানটি। কিন্তু দিল্লির মাটি ছোঁয়ার আগেই এল ভয়ঙ্কর সেই খবর, যা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। আসলে আচমকাই খবর আসে যে, উড়ান আইসি-৮১০ হাইজ্যাকারদের কবলে পড়েছে। আর অপহরণকারীদের দাবি শুনে অসহায়বোধ করেছিলেন নিরাপত্তা সংস্থাগুলিও।
আসলে সেই সময় দেশ জুড়ে রাম মন্দির নিয়ে ঢেউ উঠেছিল। আর অযোধ্যার সেই বিতর্কিত কাঠামো ভেঙে ফেলেছিলেন করসেবকরা। এরপর করসেবকদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাওয়ের একটি বিবৃতি জনসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণ করা হোক। আর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর এহেন বিবৃতি এবং করসেবকদের গ্রেফতারির জেরে বিমান অপহরণ করার একটা ছুতো পেয়ে যায় অপহরণকারীরা।
advertisement
advertisement
১৯৯৩ সালের ২২ জানুয়ারির অপহরণকাণ্ড:
আজ থেকে প্রায় ৩১ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯৩ সালের ২২ জানুয়ারি সময়েই লখনউ বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স উড়ান আইসি-৮১০। টেক-অফ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই এক যাত্রী নিজের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় এবং ককপিটের দিকে হেঁটে যেতে শুরু করে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ককপিটে ঢুকে পড়ে সে। আর সেখানে প্রবেশ করেই ক্যাপ্টেনের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে ভয় দেখিয়ে বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নেয়।
advertisement
দীর্ঘ সময় পর লখনউয়ে অবতরণ:
দীর্ঘক্ষণ বিমানটি আকাশে ওড়ানোর পর অবশেষে লখনউ বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল অপহৃত বিমানটি। আর মাটি ছোঁয়ার পরেই অপহরণকারী দাবি করে যে, বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার জেরে ধৃত করসেবকদের মুক্তি চাই। সেই সঙ্গে রাম জন্মভূমিতে একটি মন্দির তৈরি করতে হবে। আর হাইজ্যাকারদের দাবি শুনে সমস্ত জায়গায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলিও কোনও উপায় দেখছিল না। ফলে তারা সেই সময় লখনউয়ের সাংসদ অটল বিহারি বাজপেয়ীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে।
advertisement
বাজপেয়ীর হস্তক্ষেপে অপহরণকারীর আত্মসমর্পণ:
নিরাপত্তা সংস্থাগুলির অনুরোধে অপহরণকারীর সঙ্গে কথা বলেন অটল বিহারি বাজপেয়ী। এতেই কাজ হয়। আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয় সে। এরপর ওই অপহরণকারী প্রথমে বিমানে থাকা সমস্ত যাত্রীকে মুক্তি দেয় এবং আত্মসমর্পণ করে। এরপর জানা যায় তার আসল পরিচয়। ওই ব্যক্তির নাম ছিল সতীশ চন্দ্র পাণ্ডে। তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি জাল বোমা উদ্ধার হয়েছে। আর বিমান অপহরণ করার চেষ্টার অভিযোগে চার বছরের কারাদণ্ড হয়।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতেই হাইজ্যাকারদের কবলে পড়েছিল বিমান! দাবি শুনে মাথা ঘুরে গিয়েছিল নিরাপত্তা সংস্থাগুলিরও; অবশেষে ত্রাতা হয়ে এলেন অটল বিহারি বাজপেয়ী
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement