Viral: পাকিস্তানের এই ভূতুড়ে দুর্গ তৈরি করেছিলেন এক ভারতীয় সুলতান... পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শোনা যায় কান্নার শব্দ

Last Updated:

দুর্গের অভ্যন্তরে ভূতুড়ে ঘটনায় আজ পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু স্থানীয় লোকজন এই স্থান এড়িয়ে চলেন।

ভূতের অস্তিত্ব আছে কি নেই তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন মত রয়েছে। কিছু মানুষের মতে, ভূতের অস্তিত্ব নেই, আবার কেউ কেউ মনে করেন আছে। এই ধরনের মানুষ বিজ্ঞানে বিশ্বাসী। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যাঁরা ভূতের গল্পে বিশ্বাসী। কারণ যে জায়গাগুলো নিয়ে এই ধরনের দাবি করা হয় সেগুলোর রহস্য এখনও অমীমাংসিত, যেমন, ভারতের ভানগড় দুর্গ। এই দুর্গটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনক ভুতুড়ে জায়গাগুলির মধ্যে গণ্য করা হয়। শুধু তাই নয়, সন্ধ্যা ৬টার পর এর ভিতরে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। অনুরূপ একটি দুর্গ পাকিস্তানেও রয়েছে, যার নাম শেখুপুরা দুর্গ। অনেকেই হয়তো জেনে অবাক হবেন যে এই দুর্গটি ভারতের একজন সম্রাট তৈরি করেছিলেন।
পাকিস্তানে অবস্থিত শেখুপুরার এই দুর্গ সম্পর্কে বলা হয় যে, এখানে প্রবেশ করলেই মানুষ ভয়ঙ্কর অনুভূতি অনুভব করতে পারেন। ঐতিহাসিক এই দুর্গটি এখন পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্থানীয়দের মতে, এর প্রতি কোণ থেকে অদ্ভুত শব্দ আসে। এই ইমারতের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ও এর ভিতর থেকে কান্নার শব্দ শোনা যায়। এর আশেপাশে অনেক ভীতিকর জিনিসও দেখা যায়। তবে দুর্গের অভ্যন্তরে ভুতুড়ে ঘটনায় আজ পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু স্থানীয় লোকজন এই স্থান এড়িয়ে চলেন।
advertisement
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত শেখুপুরার এই দুর্গটি ১৬০৭ সালে মুঘল আমলে নির্মিত হয়েছিল, সেই সময়ে জাহাঙ্গির ভারতকে শাসন করতেন। কথিত আছে, জাহাঙ্গিরের নির্দেশে পঞ্জাব প্রদেশের শেখুপুরায় এই দুর্গটি নির্মিত হয়েছিল। তবে মুঘল শাসনের পর এই দুর্গটি বহু মানুষের হাত বদল হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, দুর্গটি ১৮০৮ সালে মহারাজা রঞ্জিত সিং দ্বারা দখল করা হয়েছিল। তারপর ১৮১১ সালে, তিনি এই দুর্গটি জায়গির হিসাবে তাঁর স্ত্রী মহারানি দাতার কৌরকে দিয়েছিলেন, যিনি তাঁর শেষ দিন পর্যন্ত এখানে বাস করেছিলেন।
advertisement
advertisement
যদিও উনিশ শতকে, এই দুর্গটি মহারাজা দলীপ সিংয়ের দখলে ছিল, কিন্তু ব্রিটিশরা এই দুর্গে তাঁর মা মহারানি জিন্দ কৌরকে গৃহবন্দী করে রেখেছিল। দুর্গটি হিরণ মিনারের কাছে অবস্থিত, যা সম্রাট জাহাঙ্গিরের পোষা হরিণের স্মারক হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। ২০১০ সালে, আমেরিকান সরকার দুর্গটির সংস্কারের জন্য ৭ কোটি টাকা পাকিস্থান সরকারকে দেয়। দুর্গটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও এটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এমন ভীতিকর স্থান দেখতে পছন্দ করেন তাঁরা পাকিস্তানের এই দুর্গে গেলে নিরাশ হবেন না।
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Viral: পাকিস্তানের এই ভূতুড়ে দুর্গ তৈরি করেছিলেন এক ভারতীয় সুলতান... পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শোনা যায় কান্নার শব্দ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement