‘আমরা ট্যাক্স দিই এই জন্য?’ দিল্লির বিষাক্ত দূষণে নাক–গলার অস্ত্রোপচার ছোট্ট ছেলের, ভেঙে পড়লেন মা!

Last Updated:

দিল্লির দূষণে সাক্ষী পাহাওয়ার ছেলের শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে অস্ত্রোপচার করতে হয়, সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা।

দিল্লির দূষণে সাক্ষী পাহাওয়ার ছেলের শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে অস্ত্রোপচার করতে হয়, সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা।
দিল্লির দূষণে সাক্ষী পাহাওয়ার ছেলের শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে অস্ত্রোপচার করতে হয়, সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা।
দিল্লির ক্রমবর্ধমান দূষণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যে ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে, তারই এক মর্মান্তিক উদাহরণ সামনে এনেছেন সাক্ষী পাহাওয়া। তাঁর ছোট্ট ছেলের শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে চিকিৎসকদের শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা সাক্ষীর ছেলেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য চিকিৎসা করা হচ্ছে। মাসের পর মাস এই সমস্যার সঙ্গে লড়াই করেছে সে। কখনও ব্যথায় কাঁদছে, কখনও মা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন—দৃশ্যগুলো বেদনাময়। (নীচে রইল সেই ভিডিও)
advertisement
advertisement

‘দিল্লি–এনসিআর দূষণ আমার ছেলেকে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত নিয়ে গেল’

সাক্ষী জানান, দুই বছর আগে তাঁদের পরিবার দিল্লিতে আসে। শহরে আসার পর থেকেই ছেলের শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে। আগে যেটা ছিল হালকা অ্যালার্জি, তা ধীরে ধীরে পরিণত হয় লাগাতার শ্বাসকষ্টে।
advertisement
তিনি বলেন, ধুলো ও দূষণের কারণে ছেলের অ্যালার্জি এতটাই বেড়ে যায় যে স্টেরয়েড স্প্রে, অ্যান্টিবায়োটিক বা হোমিওপ্যাথি—কোনও চিকিৎসাই কাজে লাগেনি।
দূষণের মাত্রা বেড়াতেই ছেলের শ্বাসপ্রশ্বাস আরও কঠিন হয়ে ওঠে। চিকিৎসকেরা জানান—বায়ুদূষণের ধাক্কায় ছেলের অ্যাডিনয়েড ও টনসিল স্টেজ–৪ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। অবস্থার অবনতি দেখে অস্ত্রোপচার ছাড়া কোনও উপায় নেই।
সাক্ষী বলেন, “ওর নাক–গলার অপারেশন করতে হল। অপারেশনের পর ছেলেকে এত ব্যথায় হাসপাতালে শুয়ে থাকতে দেখে আমাদের হৃদয় ভেঙে গেল।”
advertisement
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, “এটাই দিল্লি–এনসিআরের শিশুদের বাস্তবতা। অথচ সরকার নীরব। আমরা ট্যাক্স দিই—এটাই কি আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ?”
advertisement

পরিবারের যন্ত্রণা নিয়ে সাক্ষীর ক্যাপশন

ভিডিওর সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে সাক্ষী লেখেন—
“দিল্লি–এনসিআর দূষণ শুধু নিঃশ্বাসে নয়—আমার ছেলেকে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত ঠেলে দিয়েছে। এখানে আসার পর থেকেই ওর ক্রনিক ঠান্ডা–কাশি, অ্যালার্জি আর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। কোনও ওষুধ কাজ করেনি—শুধু দূষণ বেড়েছে। হাসপাতালে ওর কান্না আমাদের ভেঙে দিয়েছে। আমরা ট্যাক্স দিই… এর বদলে আমাদের বাচ্চারা এটা পায়।”
advertisement

প্রতিক্রিয়া: সমর্থন ছেলের জন্য, প্রশ্ন সরকারের কাছে

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকেই শিশুটির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। অনেকে আবার সরকারের নীরবতা নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
একজন মন্তব্য করেন—“দূষণ নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের প্রতিবাদ ছাড়া উপায় নেই।”
আরও অনেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাকে ট্যাগ করে লেখেন—“দয়া করে ব্যবস্থা নিন। বড়রাও শ্বাস নিতে পারছি না—এই ছোট বাচ্চারা কী করছে ভাবুন তো!”
advertisement

‘অফিস অর্ধেক কর্মী নিয়ে চলবে, বাকিদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ : দিল্লি সরকারের জরুরি পদক্ষেপ

দূষণের মাত্রা লাগাতার বেড়ে যাওয়ায়, ২৪ নভেম্বর দিল্লি সরকার GRAP স্টেজ III অনুযায়ী একাধিক জরুরি পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
‘আমরা ট্যাক্স দিই এই জন্য?’ দিল্লির বিষাক্ত দূষণে নাক–গলার অস্ত্রোপচার ছোট্ট ছেলের, ভেঙে পড়লেন মা!
Next Article
advertisement
‘আমরা ট্যাক্স দিই এই জন্য?’ দিল্লির বিষাক্ত দূষণে নাক–গলার অস্ত্রোপচার ছোট্ট ছেলের, ভেঙে পড়লেন মা!
‘ট্যাক্স দিই এই জন্য?’ দিল্লির বিষাক্ত দূষণে নাক–গলায় অস্ত্রোপচার ছেলের, ভেঙে পড়লেন মা
  • সাক্ষী পাহাওয়ার ছেলের শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে চিকিৎসকদের অস্ত্রোপচার করতে হয়.

  • দিল্লি-এনসিআর দূষণের কারণে সাক্ষীর ছেলের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেড়ে যায়, চিকিৎসায় কাজ হয়নি.

  • দূষণের কারণে ছেলের অ্যাডিনয়েড ও টনসিল স্টেজ-৪ পর্যায়ে পৌঁছে যায়, অস্ত্রোপচার ছাড়া উপায় ছিল না.

VIEW MORE
advertisement
advertisement