Corona Mask: করোনার সময় পরা মাস্ক কোথায় ফেলেছিলেন? এখন গোটা পৃথিবীর সামনে বিরাট বড় বিপদ, মানুষের একটা ছোট্ট ভুলে সর্বনাশ
- Published by:Suman Majumder
- news18 bangla
Last Updated:
Corona Mask: কোভিড মহামারির সময় সবচেয়ে বেশি যেসব জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি ছিল ফেস মাস্ক। মাস্ককে কোভিড সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়। সারা বিশ্বে প্রতি মাসে প্রায় ১২,৯০০ কোটি মাস্ক ব্যবহৃত হয়েছে।
কলকাতা: কোভিড মহামারির সময় সবচেয়ে বেশি যেসব জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি ছিল ফেস মাস্ক। মাস্ককে কোভিড সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়। সারা বিশ্বে প্রতি মাসে প্রায় ১২,৯০০ কোটি মাস্ক ব্যবহৃত হয়েছে।
করোনার সময় মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি ছিল। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহারের পর তা যথাযথভাবে নষ্ট করেননি। ফলে এখন মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই মাস্ক।
কোভিড মহামারির কয়েকশো কোটি ডিসপোজেবল ফেস মাস্ক যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেগুলো এখন বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থে পরিণত হয়েছে। এক নতুন গবেষণায় এই তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে, এই মাস্ক থেকে নির্গত রাসায়নিক পদার্থ মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে।
advertisement
advertisement
দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড মহামারির সময় মাস্ক এখন পরিবেশ ও মানুষের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এই মাস্কগুলি ভেঙে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও বিপজ্জনক রাসায়নিক তৈরি হচ্ছে। করোনার সময় মাস্কের ব্যাপক চাহিদা ছিল। তবে সেগুলোর নষ্ট করার জন্য কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে মাস্কগুলো আবর্জনার স্তূপে বা খোলা জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই মাস্কগুলো বেশিরভাগই পলিপ্রোপিলিন ও অন্যান্য প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি।
advertisement
ইংল্যান্ডের কোভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের “সেন্টার ফর অ্যাগ্রোইকোলজি, ওয়াটার অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স (CAWR)”-এর গবেষকরা পরীক্ষা করে জেনেছেন, মাস্ক জলে পড়ে থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক নির্গত হয়েছে। এর মধ্যে FFP2 এবং FFP3 মাস্ক ৪ থেকে ৬ গুণ বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক ছেড়েছে। এই মাস্কগুলো ভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর ছিল বলে ধরা হয়। কিন্তু এখন সেগুলোই সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রমাণিত হচ্ছে।
advertisement
এই মাস্ক থেকে নির্গত মাইক্রোপ্লাস্টিক কণাগুলোর আকার ছিল অনেক ভিন্ন। সেগুলোর মাপ ছিল ১০ মাইক্রোমিটার থেকে ২০৮২ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত, কিন্তু ১০০ মাইক্রোমিটারের কম আকারের কণা জলে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া গেছে। এই ছোট কণাগুলো মানব শরীর ও পরিবেশে প্রবেশ করে অনেক স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘চিকেন’স নেক’ কী? নেপালে অশান্তি, কেন শিলিগুড়ির সামনের এই করিডর নিয়ে চিন্তায় ভারত?
এই গবেষণায় আরেকটি উদ্বেগজনক তথ্য সামনে এসেছে। এই মাস্ক থেকে “বিসফেনল বি” (Bisphenol B) নামক একটি রাসায়নিক পদার্থও নির্গত হচ্ছে। এটি একটি এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টর, যা শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মতো আচরণ করে। এর ফলে মানুষের ও প্রাণীদের হরমোন সিস্টেমে গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে। অনেক গবেষণায় এই রাসায়নিককে ক্যান্সারের কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।\
advertisement
গবেষকদের মতে, কোভিড মহামারির সময় ব্যবহৃত মাস্কগুলো থেকে মোট ১২৮ থেকে ২১৪ কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিসফেনল বি পরিবেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিমাণ পরিবেশ ও প্রাণীদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা এই মাস্কগুলোকে “কেমিক্যাল টাইম বোম্ব” (Chemical Time Bomb) হিসেবে বর্ণনা করছেন।
advertisement
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
September 14, 2025 9:19 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Corona Mask: করোনার সময় পরা মাস্ক কোথায় ফেলেছিলেন? এখন গোটা পৃথিবীর সামনে বিরাট বড় বিপদ, মানুষের একটা ছোট্ট ভুলে সর্বনাশ