বলাই হয় শ্যেনদৃষ্টি, তবে এই প্রাণীদেরও যে নজর এত প্রখর জানতেন কি?

প্রথমে কিছু পাখিদের কথা সেরে নেওয়া যাক। বাজপাখির মতোই ঈগলেরও দৃষ্টিশক্তির তারিফ করতেই হবে। এদের ফোভিয়ার মধ্যে অবস্থিত কোনগুলি ছোট এবং দৃঢ় সংগঠিত হওয়ার কারণে অনেক দৃর থেকেও কোন কিছু দেখে তার উপরে দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত করতে এদের সুবিধা হয়।

বাজপাখির কথা প্রথমেই উঠেছিল। কিন্তু নজর প্রখর কেন? আসলে এদের চোখের গঠন বায়নোকুলার, একেবারে সামনা-সামনি দৃষ্টিক্ষেপ করতে পারে এরা, ফলে অনেক দূর থেকেও যে কোনও কিছু চিনে নিতে এদের অসুবিধা নেই।

আরও পড়ুন: ঠাকুমার ঘরে লুকিয়ে বল! আপনি কি পারবেন ৭ সেকেন্ডে খুঁজতে? সফল হয়েছেন মাত্র ২% মানুষ

বাজ গোত্রেরই শিকারি প্রাণী, শিকার ধরে খেতে হবে বলে প্রকৃতি এদের দিয়েছে যে কোনও কিছু চেনার অভূতপূর্ব জন্মগত দক্ষতা, তাই কিছুতেই অসুবিধা হয় না।

এই তালিকায় মূলত নিশাচর এই পাখিকেও রাখতে হবে বইকি। দিনের বেলায় এরা চোখে তেমন ভাল দেখে না। তবে, আঁধার ঘনিয়ে এলেই এদের চোখ জ্বলে ওঠে হিরের মতো, তার নজর থেকে শিকারের তখন রক্ষা মেলা ভার।

আরও পড়ুন: উল্টো ‘২৪’-এর ভিড়ে লুকিয়ে সোজা ‘২৪’! ১০ সেকেন্ডের মধ্যে পারবেন কি খুঁজতে? ৯৯ শতাংশ মানুষই কিন্তু ডাহা ফেল!

আসা যাক চতুষ্পদের কথায় বা পশুর কথায়। চিতারও চোখের গঠন বাজপাখির মতো বায়নোকুলার, এরাও দেখে সামনে সরাসরি নজর ফেলে, সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তির গভীরতাও অতুলনীয়। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে দ্রুতগতি, সচরাচর শিকার এদের ফসকায় না।

ঘোলাটে কাদাজল হোক বা স্বচ্ছ জল, হাঙরের দেখতে কোনওই অসুবিধা নেই। আসলে এদের চোখে আছে রেটিনার পিছনে এক ধরনের মিরর ক্রিস্টাল, এটাই এদের যে কোনও জায়গায় কম আলোতেও দেখতে সাহায্য করে।

এই মাছি মানুষের মতো বিশদে কোনও কিছু দেখে না। তার উপরে আয়তন ছোট। তা হলে কী হবে, এদের চোখ আর মস্তিষ্ক যে কোনও সংবেদনে দ্রুত সাড়া দেয়, আর সেটাই এদের নজরকে করে তুলেছে প্রখর।

এদের নজর প্রখর জেনে অনেকেই অবাক হবেন। তবে মজা হল, এদের চোখ একেবারে টেলিফটো লেন্সের কাজ করে, যে কোনও জিনিসের দারুণ প্রতিফলন এনে দেয় রেটিনায়, তা সম্ভব হয় বহু দূর দেখার ক্ষমতাসম্পন্ন কর্নিয়া আর মাইনাস পাওয়ারের লেন্সের জন্য, ফলে, এরাও বহু দূর থেকে শিকারকে নজরে রেখে যথাসময়ে গ্রাস করতে পারে।