Amrita Pritam Imroz: কালজয়ী এক শর্তহীন প্রেমকাহিনি, অমৃতার সঙ্গে 'দেখা' করতে চলেই গেলেন ইমরোজ; আর তর সইল না
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Amrita Pritam Imroz: একজন বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক, আরেকজন কবি ও চিত্রকর। অমৃতা প্রীতম ও তাঁর সঙ্গী ইমরোজ।
কলকাতা: বিশ্ববিখ্যাত তাঁদের শর্তহীন প্রেমকাহিনি। একজন বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক, আরেকজন কবি ও চিত্রকর। অমৃতা প্রীতম ও তাঁর সঙ্গী ইমরোজ। অমৃতা প্রীতম আগেই ছেড়ে গিয়েছেন হাত। ‘ফির মিলাঙ্গি’ বলে পাড়ি দিয়েছেন পরলোকে। সেই সহজ প্রতিশ্রুতি রাখতে আর তর সইল না ইমরোজের। গত শুক্রবার শেষ হল সেই যাপন, ৯৭ বছর বয়সে মুম্বইয়ের কান্দিভলির বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ইমরোজ, যাঁর আসল নাম ইন্দ্রজিৎ সিং।
যাপন শেষ করে এবার অমৃতার ইচ্ছেপূরণে নিজেই ইমরোজ পাড়ি দিলেন অমৃতলোকে। অমৃতার সঙ্গে দেখা করতে। অমৃতার চলে যাওয়ার পর থেকে যেন অপেক্ষা ছিল এই সময়েরই। ১৯১৯-এর ৩১ অগাস্ট পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালায় (বর্তমানে পাকিস্তানে) জন্মেছিলেন অমৃতা প্রীতম। অমৃতা পাঞ্জাবি, হিন্দি ও উর্দুতে লিখেছেন প্রচুর কবিতা, উপন্যাস ও গল্প। সে সব পাঠক-আদৃতও হয়েছে। ভারতীয় সাহিত্যিকদের মধ্যে অমৃতা প্রীতম এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ভারত-পাকিস্তান, দু’পারের পাঞ্জাবেই তিনি আজও সমান জনপ্রিয়।
advertisement

advertisement
আরও পড়ুন: বড়দিনে খান ওয়াটার পোচ, জলে ডিম ভেঙে দিলেই ‘সানি সাইড আপ’! রইল রেসিপি
অন্যদিকে, অনেক বছর পর ১৯২৬ সালে ২৬ জানুয়ারি অবিভক্ত পাঞ্জাবে ইমরোজের জন্ম। ১৯৫৭ সালে আলাপ হয় অমৃতা ও ইমরোজের। ততদিনে কবি সাহির লুধিয়ানভির সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় শেষ অমৃতার। সেই সম্পর্কের টানাপড়েন ও জটিলতায় ক্লান্ত তিনি। প্রথমে বন্ধুত্ব, তার পর প্রেম, তার পরে এক সঙ্গে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন অমৃতা-ইমরোজ। ১৯৬৬ সালে অমৃতা যখন ‘নাগমণি’ পত্রিকা প্রকাশ করছেন তখন চিত্রশিল্পী হিসেবে তাতে যোগ দেন ইমরোজ।
advertisement
আরও পড়ুন: মাছের ঝোল-তরকারি-চা সবেতেই আদা দেন? সাবধান! হিমোফিলিয়া থাকলে আদা ‘বিষ’
৩৭ বছর ধরে ‘নাগমণি’র সম্পাদনা করেছেন অমৃতা, আর তার চিত্রাঙ্কণ করতেন ইমরোজ। আর ৪০ বছর পরস্পরকে ভালবেসে একত্রবাসে থেকেছেন। যেন একে অপরের আশ্রয় হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। অনেকে এ-ও বলেন, সাহিরকে অমৃতা যতটা ভালবাসতেন, তার অনেক গুণ বেশি অমৃতাকে ভালবাসতেন ইমরোজ। শর্তহীন প্রেমে ডুবে থেকেছেন অমৃতা ও ইমরোজ। সারা বিশ্বে তাঁদের এই সম্পর্ক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিল।
advertisement
৩১ অক্টোবর ২০০৫ সালে ঘুমের মধ্যে প্রয়াত হন অমৃতা। তাঁর আগে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি, সেই সময়েই ইমরোজের উদ্দেশে লেখেন সেই কবিতা ‘ম্যায় তেনু ফির মিলাঙ্গি, কিথে… কিস তরাহ…পতা নাহি… পর তেনু জরুর মিলাঙ্গি’ (তোমার সঙ্গে আবার দেখা হবে, কোথায়, কী ভাবে জানি না, তবে নিশ্চয়ই দেখা হবে।) এই সহজ প্রতিশ্রুতি, যার ভরসায় ৪০ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে দিলেন অমৃতা ও ইমরোজ। ২০০৫-এ অমৃতার মৃত্যুর পরে ২০২৩ পর্যন্ত তাঁর স্মৃতি নিয়েই বেঁচে ছিলেন ইমরোজ। এতদিন, এত বছর। এর মধ্যেই লিখেছেন, ‘উয়ো ইয়েহিঁ হ্যায়, ঘর পর হি হ্যায়, কহিন নহি গয়ি’। এবার নতুন করে ফের স্মৃতি তৈরির পালা শুরু হল অমৃতা ও ইমরোজের, ওপারে।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
December 25, 2023 1:11 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Amrita Pritam Imroz: কালজয়ী এক শর্তহীন প্রেমকাহিনি, অমৃতার সঙ্গে 'দেখা' করতে চলেই গেলেন ইমরোজ; আর তর সইল না