#বর্ধমান: হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে অম্বুবাচীর পুজো হয়ে আসছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর বড় কোবলা গ্রামে। মঙ্গলবার ধুমধাম আড়ম্বরের সঙ্গে সেই পুজো অনুষ্ঠিত হল। সকাল থেকে মহিলারা পুজোর ডালি নিয়ে অপেক্ষায় থেকে পরিবারের কল্যাণ কামনায় নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো দিলেন।
নদীয়া জেলা লাগোয়া ভাগীরথীর তীরে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর জলাশয় মন্ডিত এলাকা বড় কোবলা গ্রাম। এই গ্রামের বাগদেবী তলায় বহু প্রাচীন কাল থেকে অম্বুবাচীর বিশেষ পুজো হয়ে আসছে। এখানে কোনও প্রতিমা থাকে না। বিশাল গাছের তলায় একটি প্রস্তরখণ্ড। তাকেই দেবতা জ্ঞানে পুজো করেন এলাকার বাসিন্দারা। অম্বুবাচীর দিনে সেখানে অগণিত ভক্তের সমাগম হয়। তবে এবার করোনা আবহে সেই ভিড়ে কিছুটা ছেদ পড়েছে। অনেক দূর থেকে হয়তো ভক্তরা আসতে পারেননি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের যোগদান ছিল উল্লেখ করার মতোই।
এলাকার বাসিন্দা রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প এবং প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন,বহু যুগ ধরে এই বড় কোবলা গ্রামের বাগদেবী তলা গাছের নীচে প্রস্তর খন্ডে অম্বুবাচীর পুজো হয়ে আসছে। নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রানী তাঁর নবদ্বীপ গ্রন্থে লিখেছেন, বড় কোবলা গ্রামে বহু যুগ ধরে একটি বৌদ্ধ প্রস্তর খন্ডের পুজো হয়। এই প্রস্তরখন্ডকে সেই প্রস্তরখণ্ড ধরলে ওই গ্রন্থের তথ্য অনুযায়ী এই পুজো হাজার বছরেরও বেশি পুরনো।
বর্ষাকালে অম্বুবাচী পুজো হয়।এখানের এই পুজোর বিশেষত্ব হল, পুজোর স্থানে কোন আচ্ছাদন থাকবে না। তাই রথযাত্রা দিনে বৃষ্টিতে ভিজে পুজোর অপেক্ষায় থাকলেন অগণিত মহিলা। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, পাশেই একটি কালী পুজো হয়। কিন্তু এখানে আচ্ছাদন দেওয়ার রীতি না থাকায় অনেককেই বৃষ্টিতে ভিজে পুজো দিতে হয়।এলাকায় কংক্রিটের রাস্তা হয়েছে। পাশেই যাতে বিধায়ক তহবিলের টাকায় একটি বিশ্রামাগার তৈরি করা যায় সেই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে সেই বিশ্রামাগার তৈরি হলে পুজো দিতে এসে বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাবেন পুণ্যার্থীরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Ambubachi, Ambubachi Rituals