#নয়াদিল্লি: আমাদের কখন কীসের নেশা এমন মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে তা আমরা নিজেরাও জানি না। আসক্তি যে কোনও কিছুতেই হতে পারে। কেউ জাঙ্ক ফুডে আসক্ত হয়ে পড়েন, কেউ কখনও অ্যালকোহলে, কেউ বা চা পান না করে আরাম পান না এবং কেউ কফি না খেলে কাজ শুরু করতে পারেন না। ঠিক এমন ধরনের একটি অভ্যাসই এক মহিলার স্বাস্থ্য এতটাই খারাপ করে ফেলেছিল যে তিনি প্রায় মরতে বসেছিলেন।
এক দিনে ওই মহিলা এত এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করতেন যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্কটল্যান্ডের মোরে নিবাসী কাইলি, যিনি একটি রেস্তোরাঁও চালান তিনি অ্যালকোহল বা ড্রাগ নয়, এনার্জি ড্রিঙ্কে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। দিনে তিনি ১৫ লিটার পর্যন্ত পান করতেন। উচ্চ রক্তচাপের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ছিঃ! ১৪ বছর ধরে ছাত্রীদের ওপরে যৌন নির্যাতন চালাচ্ছেন অধ্যক্ষ! পঞ্জাবের জঘন্য সত্য ফাঁস!
কাইলি নিজেই বলেছেন যে তিনি তাঁর কাজে যাওয়ার সময় ৫০০মিলি-এর ৬টি বোতল খেয়ে নিতেন। তার পর আবার একই সংখ্যক বোতল দুপুরের খাবারের সময় এবং বাড়ি ফেরার পথে শেষ করতেন। বাড়িতে পৌঁছেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এভাবে দিনে মোট ১৫ লিটার এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করতেন। প্রতিদিন এই কাজ করতে করতে তিনি যে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তা বুঝতেই পারেননি।
যে কোনও কিছুর অতিরিক্ত মাত্রা সর্বদা বিপজ্জনক। একই ঘটনা ঘটেছে কাইলির সঙ্গে। কখন যে তাঁর নেশা তাঁকে ভেতর থেকে ফাঁপা করতে শুরু করে দিয়েছে তিনি নিজেও জানতেন না। কাইলি তাঁর আসক্তির কারণে উচ্চ রক্তচাপের শিকার হয়েছিলেন। তাঁর অবস্থা এতটাই খারাপ হতে শুরু করে যে তাঁকে আসক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্যান্য বিকল্প এনার্জি ড্রিঙ্কের আশ্রয় নিতে হয়েছিল। আসলে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর দুই সন্তানের দায়িত্ব একা কাইলির কাঁধে এসে পড়ে, যার কারণে তিনি দুশ্চিন্তায় ভুগতে শুরু করেন। এরই মধ্যে এনার্জি ড্রিঙ্ককে সঙ্গী হিসেবে পান তিনি। এখান থেকেই ধীরে ধীরে তিনি এই নেশায় জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু এখন তিনি এই নেশা সম্পূর্ণ ছেড়ে দিয়েছেন এবং তিনি চান না যে তার সন্তানরা কখনও এভাবে কোনও এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করা শুরু করুক। তবে, এটাও একটা সত্যি যে অতিরিক্ত মাত্রায় এনার্জি ড্রিঙ্ক খেলে যদি মারাত্মক রোগ হয়, তাহলে অন্তত শিশুদের জন্য তা নিষিদ্ধ করা উচিত!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Energy drink