শিলিগুড়ি : শিলিগুড়ির ত্রিশঙ্কু তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতও কার্যত দখলের পথে তৃণমূল। শুরুটা হল ফাঁসিদেওয়ার চটহাট গ্রাম পঞ্চায়েত দিয়ে। ভোটের দিন যা কাণ্ড ঘটেছিল দিনভর, সেই চটহাটও নিজেদের কব্জায় করল তৃণমূল। ১৮ আসন বিশিষ্ট এনজিপিতে তৃণমূল পেয়েছিল ৯টি। নির্দলেরা (West Bengal Politics) পেয়েছে ৮টি এবং ১টি আসনে জেতে বিজেপি (bjp)।
"দলত্যাগী" নির্দলদের বিরুদ্ধেই লড়াই ছিল তৃণমূলের। নির্দলদের ভাঙানো আপাতত সম্ভব নয় ধরে নিয়েই বিজেপির জয়ী সদস্যকে দলে টানতে মরিয়া চেষ্টা চালায় ঘাসফুল শিবির। বিজেপির টিকিটে জিতে আসা প্রশেন টোপ্পো তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের পথে আর কোনও কাঁটা রইলো না। তাঁর হাতে তৃণমূলের ঝাণ্ডা তুলে দেন জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, আইনুল হকেরা। আর এনিয়েই শুরু হয়েছে শাসক ও বিরোধী তরজা।
বিজেপির জেলা সভাপতি আনন্দ বর্মনের অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে, মোটা অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে প্রশেনকে দলে নিয়েছে তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার জন্যেই গোটা রাজ্যে (West Bengal Politics) যা করছে, চটহাট তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ পাল্টা বলেন, "ধমকে চমকে তৃণমূল চলে না। প্রশেন আগে তৃণমূলেই ছিল। দলে ফিরতে চেয়ে যোগাযোগ শুরু করে। আরও অনেকেই করেছে। আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। কিন্তু প্রশেন জোর করায় ওকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন : অল্প কিছুক্ষণেই ঝড়-বৃষ্টিতে কাঁপবে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলা! আবহাওয়ার এই মুহূর্তের আপডেট
এর ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতাতেও পৌঁছে গেল দল। অন্যদিকে নির্দল নেতা আখতার আলি বলেন, এটা তৃণমূল ও বিজেপির (BJP) বিষয়। আমাদের ৮ জয়ী সদস্যই সঙ্গে আছে। সূত্রের খবর নির্দলেরা প্রধান পদে প্রার্থী দিচ্ছে না। কেননা প্রধানের আসনটি তফশিলী জাতির জন্যে সংরক্ষিত। নির্দলেরা চাইলে বিজেপি (West Bengal Politics) সদস্যকে নিয়ে বোর্ড গঠন করতে পারতেন। আর তাই বোর্ড দখলের পথে আর কোনও বাধা রইলো না তৃণমূলের কাছে। বাকি দুই ত্রিশঙ্কু বোর্ডও দখলে নেবে তৃণমূল। জালাস নিজামতারা এবং পাথরঘাটা জিপিও প্রায় নিজেদের কব্জাগত করে ফেলেছে ঘাসফুল শিবির। এর ফলে মহকুমার ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতই শাসন করবে তৃণমূল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BJP, TMC, West Bengal news