Cooch Behar News: বাংলাদেশের জাল নোট কারবারিদের নজরে এ রাজ্যের ছোট বাজার! ভয়ঙ্কর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে
- Published by:Sayani Rana
- Written by:Sourav Tewari
Last Updated:
বেশ কয়েকদিন আগে রাজ্যের বিশেষ গোয়েন্দারা কোচবিহার থেকে এক জাল নোট কারবারিকে গ্রেফতার করেছিল। তাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা পেয়েছেন অবাক করে দেওয়া তথ্য। এরাজ্যের ছোট বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের একাংশের জাল নোট কারবারিরা ।
কোচবিহার: বেশ কয়েকদিন আগে রাজ্যের বিশেষ গোয়েন্দারা কোচবিহার থেকে এক জাল নোট কারবারিকে গ্রেফতার করেছিল। তাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা পেয়েছেন অবাক করে দেওয়া তথ্য। এরাজ্যের ছোট বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের একাংশের জাল নোট কারবারিরা, পাশাপাশি সূত্রের খবর এই কারবারিদের সঙ্গে বেশ কিছু ছোট জঙ্গি সংগঠনও হাত মিলিয়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের ছোট বাজারে ‘ একপাতা ‘ ‘ দু পাতা ‘ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কারবারীরা। এইসব জাল নোট কোচবিহারের দিনহাটা দীঘলতারই এলাকা সীমানা দিয়ে ঢুকছে। বলেই গোয়েন্দা তদন্তে উঠে এসেছে। ১৪ টি নতুন জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে রয়েছে এই জাল নোট কারবারিরা।
advertisement
advertisement
‘দু’পাতা’, ‘একপাতা ও ছাপছে জালনোটের কারবারিরা। ছাপার খরচ অনেক বেশি। তাই লাভও কম। তবে, চাহিদা বেশি। তাই শুরু হয়েছে দেদার ছাপানো। কয়েকদিন আগে রাজ্যের একটি গোয়েন্দা সংস্থা কোচবিহার থেকে এক জালনোট কারবারিকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করে গোয়েন্দারা এই তথ্য পেয়েছেন। সে গোয়েন্দাদের জানিয়েছে, ১০০ টাকার নোট এক পাতা ও দু’শো টাকার নোট তাদের কাছে দু’পাতা হিসেবে পরিচিত। এই নোট কোচবিহারের দিনহাটার দীঘলতারি এলাকা দিয়ে ঢুকছে।
advertisement
এক আধিকারিক বলেন, “এলাকায় কাঁটাতার রয়েছে। এদেশের বেশ কয়েকটি গ্রাম কাঁটাতারের ওপারে রয়েছে পাচারকারী দলের মাথারা সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশকে বাহক হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। মাদক পাচারকারীরাও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। এতদিন সীমান্ত পেরিয়ে দু’হাজার এবং ৫০০টাকার জাল নোট আসত। মুর্শিদাবাদ, মালদহে বহুবার প্রচুর জালনোট উদ্ধার হয়েছে। দু’হাজার টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পর জাল নোটের কারবারিরা বড় ধাক্কা খায়। এখন তারা ১০০ ও ২০০ টাকার নোট ছাপাতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাজারগুলিতে এই জালনোট চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।”
advertisement
এক গোয়েন্দা অফিসারের কথায়, মালদহের সীমান্ত দিয়ে এতদিন সবচেয়ে বেশি জালনোট ঢুকত। কালিয়াগঞ্জ-সহ কয়েকটি এলাকায় রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ছাড়াও এনআইএও নজরদারি বাড়িয়েছে। ওই এলাকার কয়েকজন পাচারকারীকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা গ্রেপ্তারও করেছে। আর তাতেই পাচারকারীরা বুঝে যায়, গোয়েন্দাদের কাছে অধিকাংশ ক্যারিয়ার সম্পর্কে তথ্য রয়েছে। তাই কারবারিরা জালনোট পাচারের জন্য কোচবিহারের সীমান্তকেই বেছে নিয়েছে।
advertisement
গোয়েন্দা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ বা ২০০ টাকার নোট ছাপানোর খরচের তুলনায় লাভ খুবই কম। ১০০টাকার নোট ছাপাতে প্রায় ৬০-৬৫ টাকা খরচ হয়। তার উপর ক্যারিয়ারদের দিতে হয় ফলে কারবারিরা তেমন লাভ করতে পারে না। তা সত্ত্বেও তারা টাকা ছাপায়। কারণ তাদের মূল উদ্দেশ্য ভারতবর্ষের অর্থনীতির ক্ষতি করা।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে ১০০ ও ২০০ টাকার নোটের চাহিদা বেড়েছে। বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে নোট আসার পর তা স্টক পয়েন্টে রাখা হয়। সেখান থেকে ভিন রাজ্যের ক্যারিয়াররা এসে জালনোট নিয়ে যায়। অনেক সময় এ রাজ্যের ক্যারিয়াররাও ভিনরাজ্যে জালনোট পৌঁছে দিয়ে আসে।
advertisement
অবৈধ বালির ব্যবসা, কয়লা কারবারেও এই ধরনের জালনোট ব্যবহার করা হচ্ছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কয়েক বছর ধরে দু’হাজার এবং ৫০০ টাকার জালনোট তৈরিতে উন্নতমানের কাগজ ব্যবহার করা হয়। তাতে জালনোট হাতে নিয়ে অনেকেই আসলের সঙ্গে নকলের পার্থক্য বুঝতে পারেন না। ১০০ ও ২০০ টাকার নোটও উন্নতমানের কাগজ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
November 20, 2023 11:49 AM IST